যশোরের অভয়নগরে আফিল ট্রেড থেকে ১২০ টন সার চুরি মামলায় আরও এক আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। একই সাথে সার বিক্রির ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। আটক হাসান খান বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার বড় সন্নাসী গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামীম হোসেন।
তিনি আরও জানান এ মামলার আটক আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা হাসানের সম্পৃক্ততার বিষয়টি জানানয়। পরে আটককৃতদের মধ্যে সোহাগ হোসেনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনিও একই তথ্য দেন। সে তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা ও রামপাল উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। রামপালে নিজবাড়ি থেকে আটক করা হয় হাসান খানকে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ি থেকেই সার বিক্রির ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে শুক্রবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য,
উল্লেখ্য, অভয়নগরে সার আমদানিকারক মেসার্স আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের চীন থেকে আমদানি করা সরকারি ভর্তুকির ১৩০০ টন ডিএপি সার দুটি লাইটার জাহাজে মোংলা থেকে নওয়াপাড়ায় আসার পথে গত ১১ সেপ্টেম্বর চোরেরা ১২০ টন সার চুরি করে নিয়ে যায়। এ সার চুরি হওয়ায় অভয়নগর থানায় মামলার পর তদন্তের দায়িত্ব আসে ডিবির কাছে। ঘটনারপরপরই ডিবি পুলিশ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চুরি হওয়া সারের মধ্যে ৮০ টন সার উদ্ধার করে। একই সাথে সার চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নয়জনকে আটক। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সারারাত বাগেরহাট জেলায় অভিযান চালিয়ে হাসানকে আটক করা হয়।
আর কে-০৩