কখনো সাংবাদিক কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে যশোরে দাপিয়ে বেড়ানো চিহ্নিত চাঁদাবাজ আবিদ হাসান ওরফে সৈয়দ আল আমিনকে আটকের পর তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে মামলার পর শনিবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই আ.ফ.ম মনিরুজ্জামান। আটক আবিদ হাসান বারান্দিপাড়া এলাকার দেলোয়ার ড্রাইভারের ছেলে।
মামলার বাদী যশোর জেলরোডের সিএমসি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ফারুক হোসেন উল্লেখ করেন, আবিদ বিভিন্ন সময় তার কাছে মাসিক ১০ হাজার টাকা করে চাঁদাদাবি করে আসছিলো। সর্বশেষ গত ২২ সেপ্টেম্বর আবিদসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজন প্রতিষ্ঠানে যেয়ে চাঁদাদাবি করে। হত্যার হুমকিও দেয় । বাধ্য হয়ে তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আ.ফ.ম মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তারা গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। আবিদকে আটক করা হয়েছে। বেশ কিছু তথ্য দিয়েছে সে। আবিদের সাথে যারা ছিলো তাদেরকেও আইনের আওয়ায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে, আবিদ আটকের পর তার অনুসারীরা ছাড়ানোর জন্য নানা ধরনের দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন । বিভিন্ন মহলে ধর্না ধরেন তারা। বাদীর সাথে মীমাংসার চেষ্টাও চালায় । শেষমেষ সব চেষ্টায় ব্যর্থ হয়। আদালত আবিদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ।
রাতদিন সংবাদ