Thursday, March 28, 2024

যশোরে সোনা চোরাচালান মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা

- Advertisement -

যশোরে একটি সোনা চোরাচালান মামলায় দুই জনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড এবং একটি দুর্নীতি মামলায় এক ব্যক্তির ১০ বছরের কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছে পৃথক দুইটি আদালত। সাজাপ্রাপ্ত তিন আসামির মধ্যে দুইজন আটক ও অপরজন পলাতক রয়েছেন।

- Advertisement -

আদালত সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক একটি সোনা চোরাচালান মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিপি এম ইদ্রিস আলী। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার হোগলাডাংগী গ্রামের আব্দুল গণি মিজির ছেলে হোসেন মিজি ও একই জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার খালখোলা গ্রামের বাহাদুর মন্ডলের ছেলে আক্তার হোসেন মন্ডল।

মামলার অভিযোগে জানাযায় ২০২১ সালের ২০ মার্চ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় তল্লাশি চালায় ৪৯ বিজিবির একটি টিম। দুপুর ২টায় শরীয়তপুর থেকে বেনাপোলগামী ফেম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের পায়ের স্যান্ডেলে লুকানো অবস্থায় ১৩টি সোনারবার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন চার কেজি ৫৪০ গ্রাম। বাজারমূল্য তিন কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ঘটনায় যশোর ব্যাটালিয়নের নায়েক সোহাগ হোসেন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার এসআই আবু হেনা মিলন ২০২১ সালের ২১ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমাদেন। বৃহস্পতিবার দুই আাসমির উপস্থিতিতে এ মামলার রায় ঘোষনা করে আদালত। আটকের পরথেকেই আসামিরা যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

এদিকে, একটি দুর্নীতি মামলায় স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ সামছুল হক এক আসামির ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই সাথে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করা ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৮শ’৬০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি প্রশান্ত মন্ডল খুলনা জেলার আড়ংঘাটা উপজেলার রংপুর গ্রামের কালী পদ মন্ডলের ছেলে প্রশান্ত মন্ডল। প্রশান্ত মন্ডল নড়াইল গ্রামীন ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র কেন্দ্র ব্যবস্থাপক ও দ্বিতীয় স্বাক্ষরকারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি সিরাজুল ইসলাম।

আদালত সূত্র জানায়, তিনি গ্রামীন ব্যাংকে চাকরিরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নজরে আসে দুদকের। প্রাথমিক ভাবে সত্যতা যেয়ে আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক হাফিজুল হক। পরে মামলাটি তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক শহীদুল ইসলাম মোড়ল। তার তদন্তে উঠে আসে নড়াইল শাখা থেকে বিভিন্ন আমানত কারীদের কাছথেকে ডিপোজিট পাশ বইয়ের মাধ্যমে টাকা আদায় করেন। এছাড়া জাল ঋন প্রস্তাব বিতরণ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র তৈরী করে কৌশলে ঋন অনুমোদন করে ওই টাকাও আত্মসাৎ করেন। সেই হিসেবে সর্বমোট তিনি ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৮শ’৬০ টাকা আত্মসাত করেছেন বলে দুদকের তদন্তে উঠে আসে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর প্রশান্ত মন্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন শহীদুল ইসলাম মোড়ল। বৃহস্পতিবার আদালত এ মামলার রায় ঘোষনা করেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আদেশ দেন।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত