Thursday, April 25, 2024

স্বাধীন আলোর বিরুদ্ধে অর্ধকোটি টাকার মানহানির মামলা

- Advertisement -

যশোরের অনলাইন নিউজপোর্টাল স্বাধীন আলোর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল ও নির্বাহী সম্পাদক জামাল হোসেন শিমুলের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার মানহানির মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার যশোর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার খোরশেদ আলমের ছেলে সোলাইমান সবুজ বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, ষষ্টিতলা রেল বাজার এলাকায় আইন বহির্ভূতভাবে পুকুর ভরাট করছে স্থানীয় একটি চক্র। যা সোমবার বাজারে যাওয়ার সময় তার নজরে আসে। তখন তিনি এলাকার সচেতন নাগরিক হিসেবে পুকুর ভরাটে বাধা দেন। কিন্তু বাদীর অনুরোধ না শুনে চক্রটি পুকুর ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখে। পরে বাদী বিষয়টি ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমনকে জানান। কাউন্সিলর সুমন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও সেখানে উপস্থিত হয়ে ভরাটের কাজ বন্ধ করে দেন।
এরপর সোমবার রাত আটটায় স্বাধীন আলো নিউজ পোর্টালে ‘যশোরে কাউন্সিলরের নেতৃত্বে চাঁদাবাজির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সঞ্জয়ের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় ওই সংবাদে। সংবাদে বাদীকে চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেয়ায় তিনি সামাজিকভাবে হেয়পতিপন্ন হয়েছেন ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তার ৫০ লাখ টাকার মানহানি হয়েছে।
অপরদিকে, সঞ্জয় বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে এসে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তিনি একজন ঠিকাদার। রেলগেটের মহাসিন ও লিয়াকতের ৭৯ শতক জমির মধ্যে নয় শতক ডোবা রয়েছে। ডোবা বাদে সবই নীচু জমি। বৃষ্টি হলে পানি জমে। এলাকায় মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। এসব কারণে জমি ভরাটের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই কাজ নেন তিনি। সোমবার তিনি কাজ করছিলেন। তখন ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমগীর কবির সুমনের নেতৃত্বে কাজে বাধা দেয়া হয়। এক পর্যায় কাজ বন্ধ করে দেয় তারা। তবে, সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সুমন কিংবা তার লোকজন তাদের কারও কাছে চাঁদা চায়নি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে মামলা হয়েছে সে মামলায় তিনি সাক্ষীও হননি। রাতে কাউন্সিলর সুমন তাকে ডেকে কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তিনি বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রশান্ত সরকার, কামরুজ্জামান মামুন ও ফারুক হোসেন।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর সুমনের দাবি, কোনো অনুমতি না নিয়ে জলাশয় ভরাট করছিল। যা বেআইনি। ফলে স্থানীয়দের দাবির মুখে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত