তাছিন জামান , মাগুরা।। মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাজলী গ্রামের বহুল আলোচিত অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য রাশিদুল মোল্যা নিহতের অভিযোগে ৪৪ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। তার ভাই মোঃ সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শুক্রবার রাতে শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাজলী গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের দেশীয় ধারালো অস্ত্রের উপুর্যুপরি আঘাতে রাশিদুলের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী হোগলডাঙ্গা গ্রামে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় কাজলী গ্রামের হান্নান মোল্যা, কাবিলপুর গ্রামের রফিকুল বিশ্বাস (ফেরো), কাজলী গ্রামের ঠান্ডু মুন্সী, রিপন মোল্যা, মোকাম বিশ্বাস, নান্নু মুন্সী, ইমরুজ মুন্সী, সাদ্দাম মুন্সী, হিরন, সফর মোল্যাসহ আরও অজ্ঞাত নামা ১০ থেকে ১৫ জন পূর্ব শক্রুতা ও সামাজিক বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রামনা, ছ্যানদা, ঢাল-সরকি, বল্লম, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, লোহার রড ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র সহকারে বাদীর ভাই রাশিদুলকে ঘিরে ধরে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এরপর তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে ৩ জনকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ। তবে, মামলার ২৩ নং আসামী আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজলী গ্রামের অধিবাসী মোল্লা ফয়জুর রহমান লাবুসহ কয়েক জন আসামী ঘটনাস্থলে ছিলেন না বলে সরেজমিন ঘুরে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোল্লা ফয়জুর রহমান লাবু জানান, তিনি ঐ সময় শ্রীপুর অধিকারী হোটেলে শ্রীপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম অধিকারীসহ কয়েকজন শিক্ষকের সঙ্গে একটি কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। তিনি শ্রীপুর থেকেই ঘটনাটি প্রথম জানতে পারেন।
মামলার বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোশারফ হোসেন জানান গত রাতেই মামলা দায়ের হয়েছে, ১নং আসামীসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।