১১ বছর বয়সের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলৎকার অভিযোগে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা হয়েছে। বলৎকারের শিকার মাদ্রাসার ছাত্রের মাতা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতয়ালি মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে যশোর শহরের শংকরপুর (জিরো পয়েন্ট চাতালের মোড়) এলাকার মৃত ওসমান সরদারের ছেলে হালিম মিয়া। হালিম মিয়া পেশায় একজন রিকশা চালক। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
মাদ্রাসা ছাত্রের মাতা মামলায় উল্লেখ করেন,তার ছেলে খড়কী ইমদাদুল হক গাজীর বাজার মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। সে ওই মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে পড়াশুনা করে। গত ৩ / ৪ মাস যাবত সে প্রায়ই উক্ত মাদ্রাসা থেকে কাউকে কিছু না বলে বিভিন্ন জায়গায় চলে যেত। হালিম মিয়া একজন রিক্সাচালক। বাদির মাদ্রাসা পড়–য়া ছেলের সাথে হালিম মিয়ার পরিচয় হয়। বাদির ছেলেকে উক্ত হালিম মিয়া মাদ্রাসা থেকে ডেকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত এবং প্রলোভন দিয়ে জোর পূর্বক তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পায়ূপথে ধর্ষন করতো। গত ৬ সেপ্টেম্বর বাদির ছেলে বাড়ির পাশে খেলা দেখতে গেলে হালিম মিয়া গাজীর বাজার খেলার মাঠ হতে রিক্সায় করে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই দিন রতি ৯ টায় তার ঘরে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। হালিম মিয়া তার বাড়িতে মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে রাখে। গত ৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টায় হালিম মিয়া বাদির ছেলেকে তার ঘরে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় বাদির ছেলেকে ফুসলিয়ে খড়কী গ্রামস্থ পীরবাড়ির রেল লাইনের পাশে সুপারী বাগানের মধ্যে নিয়ে যায়। সেখানে পরনের প্যান্ট খুলে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এসময় এলাকার লোকজন দেখে ফেললে হালিম মিয়া সু-কৌশলে পালানোর এক পর্যায় জনগণ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
