যশোর সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের নারঙ্গালী সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকমাস আগে। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষার্থীকে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই শিক্ষক ঘটনাটি গোপন রাখতে বাধ্য করেছেন। ফের একই কর্মকান্ডের চেষ্টা করায় শিক্ষার্থী বিষয়টি জানাজানি করেছেন। যদিও অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক(কৃষি শিক্ষা) কলিম হোসেন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ওই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের অভিযোগ দুই মাস আগে কোনো এক শুক্রবারে স্কুলের দুই তলা বিল্ডিং এ কলিম হোসেনের কাছে ওই শিক্ষার্থী কোচিং করতে যায়। কোচিং শেষে কলিম হোসেন ওই শিক্ষার্থীর স্পর্শ কাতর স্থানে স্পর্শ করে যৌন হয়রানী করে। পরে এ বিষয়টি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা করে শিক্ষক কলিম । নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায়। এক পর্যায় বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার পরিবারকে জানায়। পরে বিষয়টি পুরো এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
এদিকে, ওই শিক্ষার্থীর পরিবার এসব অভিযোগ এনে সোমবার স্কুলে আসেন। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানান। এরপর থেকেই ওই শিক্ষক বিভিন্ন মহলে ধর্না ধরতে শুরু করেছেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য রাজনৈতিক একটি মহলকে ব্যবহার করছেন ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক কলিম রাতদিন নিউজকে বলেন, এ অভিযোগ মিথ্যা । স্থানীয় একটি চক্র তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। কেন ষড়যন্ত্র করছে যানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই স্কুলে তিনি কোচিং করান। তার অনেক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। ফলে ইর্ষান্বিত হয়ে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে । সরকারী ভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোচিং নিষিদ্ধ থাকা সত্বেও কিভাবে আপনি কোচিং করান এ প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন নি মি.কলিম।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহিনুর রহমান রাতদিন নিউজকে জানান, সোমবার সকালে ম্যানেজিং কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের কাছে মেয়ের পরিবার অভিযোগ করেছে। পরে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়। পরে কি আলোচনা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে, মঙ্গলবার কিংবা বুধবার এ বিষয়ে ফের আলোচনার হতে পারে বলে জানান।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। একই সাথে বিষয়টি মিমাংশা হয়েছে বলে আভাস দেন।
রিকি খান
