Wednesday, April 24, 2024

চাঁচড়ায় যুবককে হত্যার ঘটনায় ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ২

- Advertisement -

যশোরের চাঁচড়ায় দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত মোস্তাফিজুর রহমান হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।  এ ঘটনায় মোস্তাফিজ হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ভাই আব্দুল মোত্তালিব (৩৯) সোমবার  ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।  এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জনকে আসামি করা হয়েছে । আসামিরা হলেন সদর উপজেলার বিরামপুর কালীতলা গ্রামের ইসহক গাজির ছেলে ইব্রাহিম (২৩), শামীম হোসেনের ছেলে ইমরান (২৫),  আসলাম হোসেনের ছেলে সুজন হোসেন (২২), মিঠুর ছেলে আল আমিন (২৪) , মৃত অনিল মন্ডলের ছেলে অন্তর মন্ডল (২৬) ও মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে রাব্বি হাসান (২৩)। তাদের মধ্যে অন্তর মন্ডল ও রাব্বি হাসান। আটককৃতদের জবানবন্দি গ্রহনের জন্য আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলায় আব্দুল মোত্তালিব বলেছেন, তার আপন ছোট ভাই মোস্তাফিজুর রহমান ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার হিসেবে চাকুরি করতো। পরিবার নিয়ে সাতক্ষীরা সদরের কলেজপাড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতো। ৪ সেপ্টেম্বর সকালে মোস্তাফিজ ভাড়া বাসা থেকে কোম্পানির কাজে বাইরে যায়। ওই দিন বেলা ১২ টায় মোস্তফিজের মোবাইলে কল দিলে ঝিনাইদহে আছে বলে জানায়। পরে মোস্তাফিজের স্ত্রী জান্নাতুল মোবাইলে কল দিলে বাড়ি আসছে বলে জানায়। মোস্তাফিজ বাড়ি না আসায় ওই দিন সন্ধ্যায় মোস্তাফিজের মোবাইলে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তখন আশে পাশের এলাকাসহ নিকট আত্বীয় স্বজনের কাছে খোঁজ নিয়ে মোস্তাফিজুরের কোন সন্ধান পায় না। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে মোস্তাফিজের সহকর্মী রবিউল ইসলামের কাছে মোবাইল করলে সে জানায় যশোর থেকে এক ব্যক্তি তাকে জানিয়েছে, মোস্তাফিজকে ছুরি মেরেছে। বর্তমানে মোস্তাফিজ সদর হাসপাতালে আছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক তারা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে যেয়ে লাশ শনাক্ত করেন। মামলায় আরও উল্লেখ করেন, আসামি ইমরানের সাথে কোম্পানীর পাওনা টাকা নিয়ে আমার ভাই মোস্তাফিজুরের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে পরস্পর যোগ সাজসে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইমরান ও তার ৩/৪ জন সহযোগি  মোস্তাফিজকে ডেকে নিয়ে চাঁচড়া চেকপোস্ট নিউ নুর হোটেলের সামনে থেকে রাব্বি হাসানের ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর হত্যার উদ্দেশ্যে চাকু দিয়ে আঘাত করে মোস্তাফিজকে রক্তাত্ত জখম করে। আসামিরা মোস্তাফিজকে রক্তাত্ত অবস্থায় মোস্তাফিজকে ইজিবাইকে করে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়ে যায়। ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫ টায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহমেদ তারেক শামস মোস্তাফিজকে মৃত ঘোষনা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকতাৃ চাঁচড়া ফাঁড়ির এস আই আনিছুর রহমান জানান, মোস্তাফিজ হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি অন্তর মন্ডল ও রাব্বি হাসানকে সোমবার দুপুরে সদরের বাহাদুরপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের সিনিয়ির জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে সোপর্দ করা হলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। জবানবন্দি শেষে আসামি দুজনকে জেলহাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত