Friday, April 19, 2024

যশোরে সৎ নানীকে নির্যাতনের হাত থেকে উদ্ধার করতে যেয়ে একই পরিবারের পাঁচজন জখমের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার-১

বৃদ্ধা সৎ মায়ের উপর অন্যায় আচারণ ও ভরণ পোষন বন্ধ করার প্রতিবাদ করতে বোন দুলা ভাই বাড়িতে গেলে তাদেরকে একটি কক্ষে আটকে রেখে হত্যার হুমকী দেয়। এখবর পেয়ে উদ্ধার করতে যেয়ে নারীসহ ৫ জনকে ধারালো গাছী দা দিয়ে কুপিয়ে এলোপাতাড়ী পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় ভাগ্নে বাদি হয়ে সন্ত্রাসী দুই আপন মামার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনাটি যশোর সদরের ৮ নং দেয়াড়া ইউনিয়ন পরিষদের ঘোষ আমদাবাগ (পশ্চিমপাড়ায়)। এ ঘটনায় ভাগ্নে সদর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে আল মামুন বাদি হয়ে বুধবার দিবাগত গভীর রাতে মামলা করেছেন। মামলায় আসামীরা হচ্ছে, সদর উপজেলার ঘোষ আমদাবাদ গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম। পুলিশ আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করেছে।

আসামীদের ভাগ্নে আল মামুন মামলায় উল্লেখ করেন,আসামী আশরাফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম তার আপন মামা। তাদের স্বভাব চরিত্র ভাল না। বিগত অনুমান ২ বছর পূর্বে বাদির নানা লুৎফর রহমান ও নানী মারা যায়। কিন্ত নানার দ্বিতীয় স্ত্র মোছাঃ মাবিয়া খাতুন (৬৫) জীবিত আছে। বাদির নানা মারা যাওয়ার পর হতে আসামীরা বাদীর সৎ নানীর উপর অন্যায় আচারণ শুরু করে এমনকি তাহার ভরণ পোষন দেয় না। নানী অতিকষ্ঠে বাড়িতে দিন যাপন করতে থাকে। বাদির সৎ নানীর কক্ষ দেখে বাদি,বাদির পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন দেখভাল করতে থাকে। বর্তমানে বাদির দুই মামা সৎ নানীর উপর অমানবিক অন্যায় আচারণ শুরু করে এমনকি ভরণ পোষন সম্পূর্নভাবে বন্ধ করে দেয়। উক্ত ঘটনার বিষয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানী বাদির মাতা রেক্সনা ( আছিয়া)কে জানালে গত ৩১ আগষ্ট সকাল সাড়ে ৮ টায় বাদির পিতা মাতা মানবিক কারণে সৎ নানীকে আনার জন্য বাদির মামার বাড়িতে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর দুই ভাই আশরাফুল ইসলাম ও মনিরুল ইসলাম বাদির পিতা মাতাকে কৌশলে তাদের একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে অবৈধভাবে বাইরে থেকে ছিটকানী দিয়ে আটক করে বাইরে অবস্থান নিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দিতে থাকে। উক্ত ঘটনা শুনে বাদির ছোট চাচা আবুল তালেব ও বড় ভাই আল আমিনদ্বয় বুধবার ৩১ আগষ্ট সকাল ১০ টায় নানার বাড়িতে যেয়ে বাদির পিতা ও মাতাকে উদ্ধারের চেষ্টা করলে উভয় আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো গাছী দা দিয়ে তাহাদের উপর অতর্কিত আক্রমন করে। আশরাফুল ইসলামের হুকুমে ওসহযোগীতায় উভয়ে মারপিট শুরু করে। আশরাফুল ইসলাম বাদির চাচা আবু তালেবকে খুন করার উদ্দেশ্যে ধারালের গাছীদা দিয়ে কুপিয়ে হাত থেকে আঙ্গুল বিছিন্ন করে ফেলে। বাদির মাতা রেক্সনা (আছিয়া),মামী সাবিনা, মামী সালমা,নানী মোছাঃ মাবিয়া বেগম ও ভাই আল আমিন গণ ঠেকাতে গেলে তাদেরকে মারপিট করে জখম করে। সকলে ডাক চিৎকার দিলে আসামীরা হত্যার হুমকী দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় বাদির চাচা,মামী,পিতা,সৎ নানীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চাচার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ভর্তি করা হয়।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত