সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে আ. লীগ ও বিএনপির কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে বিএনপি আয়োজিত সমাবেশ পন্ড হয়ে গেছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় প্রতিপক্ষের ছোড়া ইটের আঘাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেনসহ (৪৮)সহ উভয় দলের ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে দলীয় এবং বিভিন্ন সুত্রে দাবি করেছে। কালিয়া ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালসহ স্থানীয় ভাবে আহতদেরকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
কালিয়া উপজেলার নড়াগাতি সরকারি প্রাইমারী স্কুলের মাঠে বিকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্যে সমাবেশের আয়োজন করে। বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। ঘটনার জন্য আ. লীগ ও বিএনপি নেতারা পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকাল ৫ টার দিকে মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করলে স্থানীয় আ. লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে উভয় দলের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপি ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছ।
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন, বিকালে তিনি সমাবেশ স্থলে পৌঁছালে ও সমাবেশ শুরু হলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আ. লীগ নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পন্ড করে দেয়। হামলায় তার দলের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে তিনি দাবি করলেও তিনি তাদের নাম জানাতে পারেননি।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, খাসিয়াল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফফার, একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আবদুল্লাহ, নড়াগাতি থানা ছাত্রদলের সদস্য ফাহিম খান, কর্মী জনি গাজী, সোহান বিশ্বাস, মুন্না শেখ প্রমুখ আহত হয়েছেন।
নড়াগাতি থানা আ. লীগের সভাপতি মো. সালাউদ্দিন বশির অভিযোগ করে বলেন, প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার বিকালে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কাজী সরোয়ার হোসেনসহ স্থানীয় আ. লীগ নেতারা নড়াগাতি থানা আ. লীগ অফিসের সামনে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ বিএনপির সমাবেশ স্থল থেকে মিছিল করে তারা আ. লীগ অফিসে ও তাদের উপর হামলা চালায় এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এর ফলে কেন্দ্রীয় যুবলীগের অর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সরোয়ার হোসেন রক্তাক্ত জখম হন। ঘটনার খবর পেয়ে আশপাশে থাকা আ. লীগ কর্মী সমর্থকরা হামলা প্রতিরোধ করতে এগিয়ে এলে ইসাবুল মোল্য (৪৫), পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ছালিম শিকদার (৪৪) ও রাসেল খান (২৫)সহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে নড়াগাতি থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, দুই দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ আহত হয়েছেন কিনা তা তিনি জানেন না। তবে পুলিশ কঠোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।