Friday, April 19, 2024

খুলনায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪ প্রতারক গ্রেফতার

মহানগরীর আড়ংঘাটা এলাকায় ভুয়া পুলিশ সদস্য সেজে চাঁদাবাজি কালে এক নারী সাংবাদিকসহ সিন্ডিকেট চক্রের ৬ সদস্যকে হাতে নাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি গত ১২ আগস্ট রাতে আড়ংঘাটা থানা এলাকার রায়েরমহল খ্রিষ্টানপাড়ার জনৈক অপুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামে বাসায় ঘটে।

ওই ঘটনায় মোঃ ওয়াহিদ উল আলম বাদী হয়ে বড় বয়রা রায়েরমহল মীরের ঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ গফুর মোল্লার কন্যা কথিত নারী সাংবাদিক তানজিলা পারভীন লাবনী (২৮), উত্তর মুজগুন্নি পেটকা বাজার এমএ খালেকের বাড়ীর ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র শাহারিয়ার আহমেদ (৩২), গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকের পাশের বাসিন্দা মোঃ কুদ্দুস মোল্যার কন্যা আলিশা রহমান মুন (১৯), বড় বয়রা খ্রিষ্টানপাড়া এলাকার বাসিন্দা সম্পা করালী (২৩), খালিশপুর ১২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা (পিতা-অজ্ঞাত) তানভীর তপন (৫০) ও গল্লামারী পাশের এলাকার বাসিন্দা (পিতা-অজ্ঞাত) ওসমান গাজী (২৬) এর বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করেন (যাহার নং-০১)।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী ওয়াহিদ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত। বাদীর সাথে সম্প্রতি আসামী আলিশা রহমান মুনের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের জের ধরে ওয়াহিদ মুনের সাথে কয়েকবার দেখা করে। গত ১২ আগস্ট রাত ৯টার দিকে ওয়াহিদ ও আতিশা রহমান মুন তার পরিচিত রায়েরমহল খ্রিষ্টানপাড়া জনৈক অপুর বাড়ীর ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলামে বাসায় পৌঁছায়। ওই ঘরের ভেতর বসে তার কথা বলার একপর্যায়ে আসামী কতিথ নারী সাংবাদিক তানজিলা পারভীন লাবনী, শাহরিয়ার আহম্মেদ, তানভীর তপন ও অপর আসামী ঘরের ভেতর প্রবেশ করে ছবি তোলা, দেহ তল্লাশি করে এবং চড় থাপ্পড় মেরে বাইরে রাখা প্রাইভেট কারে করে শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালের নির্জন জায়গায় নিয়ে পুলিশের পরিচয় দিয়ে, থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে ১ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করে। বাদী ওয়াহিদ তাদেরকে বন্ধুদের নিকট হতে ১৫ হাজার টাকা নিয়ে দিতে সম্মত হন। অতঃপর তারা পুনরায় বাদীকে সোনাডাঙ্গা থানার সম্মুখে খুলনা শিববাড়ী মোড়ে নিয়ে যায়। শিববাড়ী মোড়ে অবস্থান করাকালীন বাদী ওয়াহিদের বন্ধুদের হস্তক্ষেপে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৪জন কে গ্রেফতার করে আড়ংঘাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তবে ওই ঘটনায় বাকি দুই আসামী পলাতক রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আজহার আলী জানান, অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করে। পুলিশ সেজে চাদা আদায়ের অভিযোগ এনে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মোঃ ওয়াহিদ উল আলম। আসামীদেরকে ১৩ আগস্ট দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে প্রচেষ্টা অব্যহত আছে। মামলা তদন্তাধীন।
আড়ংঘাটা থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান জানান, পুলিশের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের কারা হয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াধীন।

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত