সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: চলতি মওসুমে অনাবৃষ্টির কারনে কৃষকদের সেচ নির্ভর হয়ে পাট চাষ করতে হয়েছে। এখন মৌসুম শেষে পানির অভাবে জমিতে নষ্ট হচ্ছে কাটা পাট। পানির অভাবে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সাতরা খালে পাট পচানোর উদ্যোগ নিয়ে বাধার মুখে পড়ায় ৫ গ্রামের কৃষকরা এখন বিপাকে । পচানোর পানির সংকটে শুকিয়ে যাচ্ছে কাটাপাট। পাট চাষীরা বাচা মরার শংকায় আছে।
লোহাগড়া উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নের সাতরা খালে এলাকার ৫টি মৌজার প্রায় সাড়ে তিনহাজার হেক্টর জমির কৃষকরা কাটা পাট পচানোর জন্য উদ্যোগ নেয়। কিন্তু খালটি খনন করে পাড় উঁচু করায় খালে যেতে কৃষকদের বাঁধার মুখে পড়তে হয়েছে।সেকারনে পানির অভাবে জমিতে পড়ে আছে কাটা পাট। গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে সাতরা নামের খালটি । দীর্ঘদিন এলাকার কৃষকরা এ খালেই পাটপচানোসহ জমিতে সেচদিয়ে ধানসহ অন্যান্য ফসল ফলিয়ে আসছে। কিন্তু এবার বাধা পাওয়ায় কৃষকরা পড়েছে চরম বিপাকে। অনাবৃষ্টির কারনে পাট পচানোর মত কোথাও বৃষ্টির জমা পানি নেই।
ভুক্তভোগী কৃষকরা সম্প্রতি মাঠ থেকে কাটা পাটের বোঝা মাথায় নিয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্য্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় । সমবেত কৃষকরা জানায়,খালের মাঝ বরাবর বাঁশের বেড়া দিয়ে কয়েকটি ভেকুদিয়ে খালের মাটি তুলে পাড় উঁচু করে দেওয়া হয়েছে । এলাকাবাসি জানেওনা এই কাজের সাথে কে বা কারা জড়িত। তাদের বক্তব্য, সুদুর অতিত থেকেই তারা এই জলাশয়ে পাট পচানো, মাছ শিকারসহ এ খালের পানি সেচ কাজে ব্যাবহার করে আসছে,এটা তাদের অধিকার। লোহাগড়া উপজলা কর্মকর্তা কৃষকদের দাবি শোনেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেওয়ায় কৃষকেরা তাদের অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর আলী জানান, বিষয়টি আমার আগে জানা ছিলনা। কোন বিভাগ থেকে খাল বন্ধ করা হয়েছে আমাকে জানানো হয়নি। তবুও কৃষকদের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সরেজমিন দেখে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে আশু ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ।