জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত যশোর জেলায় কর্মরত বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও আদালত সহকারীদের শেষ হয়েছে৷ শনিবার শেষ দিনে যশোর জেলার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. তমিজুল ইসলাম খান, ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সায়েমুজ্জামান প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন৷
এসময় সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিক বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমে মোবাইল কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে৷ মোবাইল কোর্ট ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে সংঘচিত বা উদঘাটিত অপরাধের বিচারের জন্য পরিচালনা করা হয়৷ এটি অনেক চ্যালেঞ্জিং বিষয়৷ এজন্য সতর্কতার সাথে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার নিশ্চিত করা প্রয়োজন৷ সবাইকে বিচারিক মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে৷
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে বিচারকে সবার সামনে প্রদর্শন করতে হবে৷ মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পরিচালনা করতে হবে৷ মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে৷
ভারপ্রাপ্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ হোসেন বলেন, মোবা্ইল কোর্টের দন্ডের ভিত্তি আসামীর স্বীকারোক্তি৷ এটি ফ্যাক্টস ইন ইস্যু৷ আসামী দোষ স্বীকার করলে মোবাইল কোর্টের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট যথোপযুক্ত দণ্ড দিতে পারেন৷
এর আগে শুক্রবার সকালে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী মোবাইল কোর্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন৷ প্রশিক্ষণে ৪০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নেন৷
