শামিম হোসেন ,কুয়াদা প্রতিনিধিঃ মনিরামপুরে যৌতুক লোভী স্বামী আসাদুল ইসলাম (৩০) সহ ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ করেছে স্ত্রী হালিমা খাতুন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৩ বছর পূর্বে মনিরামপুর উপজেলার ঢাাকুরিয়া গ্রামের দক্ষিনপাড়া এলাকার মৃত হারুণের মেয়ে হালিমা খাতুনের সাথে একই উপজেলার কাশিপুর গ্রামের গাজীপাড়ারর রবিউল ইসলামের ছেলে আসাদুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়।
হালিমা খাতুন জানান, বিবাহের পর হতে আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের দাবিতে আমাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। ২ বছর আগে আমার স্বামীর যৌতুক দাবি পূরণ করতে না পারায় আমার বাবা গলায় দড়ি দিয়ে আত্যহত্যা করে। তারপর থেকে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তার বাবা মার কথায় আমার স্বামী আমাকে মেরে ফেলার হুমকিসহ মারপিট করতে থাকে।
তিনি আরো জানান, আমার পক্ষে যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব হবেনা বিধায় শত নির্যাতন সহ্য করেও ঘর সংসার করতে থাকি গত ২মাস আগে আমার স্বামীর পরিবার আমার কাছে পুনরায় মোটরসাইকেল ও বাপের বাড়ির সম্পত্তির দাবি করে এবং আমাকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি নিরুপায় হয়ে বাবার বাড়ীতে চলে যাই। বাবার বাড়ীতে অবস্থান করা কালীন সময়ে আমার স্বামী আমার কোন খোজ খবর নেয়নি। কয়েকবার সালিশী বৈঠক করেও কোন কাজ হয়নি পরে ঢাকুরিয়া ইউ পি আইয়ুব গাজীর চেয়ারম্যানের সহযোগীতাই আবারো সালিশ হয়। সালিশে কথা হয় আমার বাবার বাড়ি থেকে দেওয়া সব কিছু ফেরত নিয়ে এসে আমার স্বামীকে তালাক প্রদান করিব। সেই মোতাবেক গতকাল শক্রবার ২টি আলমসাধু নিয়ে স্বামীর বাড়িতে উপস্থিত হলেই তারা আমাদের উপর ক্ষিপ্র হয়ে আলমসাধুর ড্রাইভারকে অমানবিক ভাবে আসামী ৬ জন মিলে লাঠিশোটা দিয়ে তাকে আহত করে। আহত ড্রাইভারকে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরো জানান, যৌতুক লোভী স্বামীর নির্যাতন সহ্য ক্ষমতার বাইরে যাওয়ায় মনিরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগে আসামীরা হলো রেজাউল ইসলাম ,সাকিল হোসেন, বুলবুল, আসাদুল, সাগর, লিটন হোসেন তারা একই উপজেলার কাশিপ গ্রামের গাজীপাড়ার বাসিন্দা।
এবিষয়ে মণিরামপুর থানার এসআই আলামিন জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।