Thursday, April 25, 2024

তদন্ত রিপোর্টঃ আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র রাকিবুলকে হত্যা করা হয়নি

- Advertisement -

যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের ছাত্র রাকিবুল ইসলামকে হত্যা করা হয়নি। মাথাঘুরে ইটের উপর পড়ে আঘাতজনিত কারনে তার মৃত্যু হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে এসআই আনছারুল হক তদন্ত রিপোর্টে এমন তথ্য দিয়ে আদালতে চুড়ান্ড রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রাকিবুল নড়াইল লোহাগাড়ার চর কালনা গ্রামের প্রবাসী আনিসুর রহমান মনা মিয়ার ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রাকিবুল ইসলাম যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ছিল। সে শহরের খড়কি কারবালা পুকুরপাড়ের মাইনুর রহমান মিলনের মিলন তাহানান ছাত্রাবাসের ৪র্থ তলায় অন্যান্য ছাত্রদের সাথে থাকত। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ছাত্রবাস থেকে রাজু ফোন করে রাকিবুলের গ্রামের এক চাচা আব্দুল জলিল মোল্যার মোবাইল ফোন করে তার অসুস্থ্যতা ও তাকে হাপাতালে নেয়া হচ্ছে বলে জানান। এ সংবাদ পেয়ে রাকিবুলের মা কয়েকজনকে সাথে নিয়ে দুপুরে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পৌছান। অসুস্থ্য রাকিবুলকে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে খুজে না পেয়ে মর্গে যেয়ে রাকিবুলের লাশ সনাক্ত করেন স্বজনেরা। এ সময় হাসপাতালে ছাত্রাবাসের কোন ছাত্র ও মালিক কাউকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে রাকিবুরের মৃত্যুর সনদপত্র সংগ্রহ করে লাশ বাড়ি নিয়ে যায়। রাতে মরদেহের গোসল করার সময় মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন দেখে ৯৯৯ এ কল করে পুলিকে সংবাদ দেয়া হয়। পরদিন লোহাগাড়া থানার পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী ও ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ব্যাপারে ৩০ জানুয়ারি নিহতের মা লোহাগাড়া এ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ যশোর কোতয়ালি থানায় মামলা করার পরামর্শ দেয়। ৩১ জানুয়ারি তিনি কোতয়ালি থানায় অভিযোগে দিলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি নিহত রাকিবুলের মা রুপালী বেগম বাদী হয়ে অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে আদালতে হত্যা মামলা করেন। অভিযোগের ভিতর হত্যাকান্ডের সাথে ছাত্রাবাসের পরিচালক, রাধুনী ও ৪র্থ তলায় বসবাসকারী ছাত্র সাজ্জাদ, নুরুল আহাদ, নুর আলম, রিয়াদ, কামরুল আলম ও রাজুসহ অপরিচিত আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতের বিচারক অভিযোগটি গ্রহণ করে কোতয়ালি থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার আদেশ দিয়েছিলেন। আদালতে আদেশে ২৪ ফেব্রুয়ারি অভিযোগটি কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজাহারে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যার কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। একই সাথে ঘটনার দিনে বেলা ১১টার সময় রাকিবুল মাথাঘুরে ইটের উপর পড়ে আঘাতজনিত কারনে অথবা শারিরীক অসুস্থ্যতার কারনে তার মৃত্যু হওয়ায় আদালতে এ চুড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাতদিন সংবাদ

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত