যশোরের চৌগাছায় মাহফুজুর রহমান (৬৫) নামে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। তিনি উপজেলার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের টেঙ্গুরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, মাহফুজুর রহমান চৌগাছা শহরে ব্যবসা করেন এবং টেঙ্গুরপুর গ্রামের মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে মুয়াজ্জিন ও সহকারী পেশ ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
গত শুক্রবার (১২ আগস্ট) রাত আনুমানিক ৯টায় চৌগাছা শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফিরে রাতের খাওয়ার সময় ছেলেদের সাথে পারিবারিক ছোটখাটো বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য হয়। পরে রাত ১০টায় নিজের থাকার ঘরে স্ত্রীর সাথে ঘুমাতে যান। রাত ২টার দিকে হঠাৎ তার স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেলে দেখেন স্বামী পাশে নেই। পরে মায়ের ডাক চিৎকারে ছেলেরাসহ বাড়ির লোকজন আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করার এক পর্যায়ে দেখতে পান মাহফুজুর নিজেদের একতলা বসতঘরের ছাদের ওপর কাঁঠাল গাছের ডালে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। এসময় ছেলেদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে রশি কেটে নামিয়ে তাকে হাটানোর চেষ্টা করেন। এবং দ্রুত তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মুজিদ জানান, মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন শিরাসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। সেই রোগ সহ্য করতে না পেরেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা মনে করছেন।
তিনি জানান, কয়েকদিন আগেও তার বড় ছেলে চিকিৎসক দেখিয়ে নিয়ে এসেছে। তিনি আরো জানান, ভাই দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের মসজিদের পেশ ইমামের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
পরে শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চৌগাছা থানা থেকে পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি দাফনের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর বিকাল তিনটায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি না থাকায় তাঁদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।