প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের নিকট আত্মীয় পরিচয়ে যশোরে এক তরুণীকে চাকরি দেয়ার দেওয়া হয় আশ্বাস। চাকরী দেওয়ার নামে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয় কথা বলে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। এমন অভিযোগে যশোর আদালতে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বাঘারপাড়া উপজেলার কড়ইতলা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুল ওহাব মামলাটি করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট পলাশ কুমার দালাল অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বাঘারপাড়া উপজেলার দরাজহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, বাঘারপাড়া উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামের সিদ্দিক মোল্যার ছেলে আব্দুল্লাহ ও মৃত আলেক মোল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামিরা আব্দুল ওহাবের দুসর্ম্পকের আত্মীয়। এই সুবাদে আসামিরা প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিবের নিকট আত্মীয় পরিচয়ে আব্দুল ওহাবের মেয়ে খাদিজা পারভীনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। আব্দুল ওহাব রাজি হলে ২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি আসামি আব্দুল্লাহ তার কাছ থেকে প্রথমে নগদ দুই লাখ টাকা গ্রহণ করেন। এ সময় আসামি আব্দুল্লাহ নিজ স্বাক্ষরিত দুই লাখ টাকার ব্যাংকের একটি চেক আব্দুল ওহাবকে দেন। এরপর ১৯ জানুয়ারি আব্দুল ওহাবের কাছ থেকে নগদ তিন লাখ ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন অপর আসামি নজরুল ইসলাম।
দুজন আসামি মোট পাঁচ লাখ ৫২ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কথা ছিলো তিন মাসের মধ্যে চাকরি দিবেন। চাকরির জন্য তারা খাদিজা পারভীনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা খাদিজা পারভীনকে চাকরি পাইয়ে দিতে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে আসামিরা নানা তালবাহানা করতে থাকেন।
গত ১৯ জুলাই সকালে আসামিদের সাথে দেখা করে তার দেয়া টাকা ফেরত চান আব্দুল ওহাব। কিন্তু তারা এ সময় তার কাছ থেকে টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন। এমনকি টাকা দাবি করলে তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে শায়েস্তা করার হুমকি দেন তারা। বাধ্য হয়ে মামলা করেন ওহাব।