বুধবার (১০ আগস্ট) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়বে তামিমের দল। এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিং করবে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও হেরে বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস একেবারে তলানিতে। সিরিজের এক ম্যাচ বাকি থাকতেই হারতে হয়েছে ওয়ানডে সিরিজ। তাই শেষ ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচ।
বাংলাদেশ একাদশ
বাংলাদেশ একাদশে দুই পরিবর্তন নিয়ে নেমেছে। মোস্তাফিজুর রহমান ফিরেছেন একাদশে, অভিষেক হচ্ছে ইবাদত হোসেনের। বাদ পড়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদ।
একাদশে যারা, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), এনামুল হক বিজয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, এবাদত হোসেন ও হাসান মাহমুদ।
আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে জিততে মরিয়া বাংলাদেশ
সিরিজ হেরে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখছেন অধিনায়ক তামিম। দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে পেতে জেতা উচিত বলে মনে করছেন বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড।
গতকাল সাংবাদিকদের ডোনাল্ড বলেছেন, ‘কঠিন শিক্ষা পাওয়ার পর যেমন হয়, দলের অবস্থা তেমনই। আমরা অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কিছু ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কিছু বাজে সিদ্ধান্তও। আজ সকালে আমরা এ নিয়ে কথা বলেছি। আমরা এই দলের ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্য নিয়ে কথা বলেছি। সিরিজ হেরেছি। কিন্তু আত্মবিশ্বাস নেওয়ার জন্য জিততে হবে।’
২১ বছর পর চারশতম ম্যাচে লজ্জার মুখোমুখি
বাংলাদেশ এই ম্যাচের মাধ্যমে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে খেলবে। এই মাইলফলকের ম্যাচেও যেন লজ্জার মুখোমুখি। বাংলাদেশ সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল ২০০১ সালে। ২১ বছর আগে! বর্তমানে খেলা বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার তখন শিশু! ৯ বছর পর সিরিজ জেতা জিম্বাবুয়েকে এবার হাতছানি দিচ্ছে একুশ বছর পর হোয়াইটওয়াশ করার।
১ ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিম্বাবুয়ের
বাংলাদেশের দেওয়া ২৯০ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতলো জিম্বাবুয়ে। এতে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হলো সিরিজ। এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়েছিলে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে কাইয়া-রাজা এবার রাজা-চাকাভার মহাকাব্যিক ইনিংসে জিতলো জিম্বাবুয়ে। ৪৯ রানে চার উইকেট পতনের পর শুরু হয় রাজা-চাকাভার গল্প। থামেন ২০১ রান করে। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। চাকাভা ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি (১০২) করে ফিরলেও রাজা ১১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। আগের ম্যাচে রাজা অপরাজিত ছিলেন ১৩৫ রানে। শেষে অভিষিক্ত টনি খেলেন মারকুটে ইনিংস। তিনি ১৬ বলে ৩০ রান যোগ করেন। তাতে ১৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং শুরুতে আঁটসাঁট হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে খেই হারিয়ে ফেলে। শরিফুল ছিলেন এলোমেলো, ৯ ওভারে ৭৭ রান দেন। আর তাসকিন সমান ওভারে দেন ৬২। ২টি করে উইকেট নেন হাসান-মিরাজ।
অনলাইন ডেস্ক