যশোরে ভ্রুন হত্যার অভিযোগে স্ত্রীসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন জিয়াদ হোসেন ইমন নামে এক যুবক। তিনি শেখহাটির মিজানুর রহমানের ছেলে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগের তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার মিঠা পুকুর গ্রামের ইশরাত জাহান মারিয়া ও তার পিতা কাজী ইব্রাহীম, যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের লাকী খাতুন ও তার স্বামী মিলন হোসেন।
জিয়াদ হোসেন ইমন মামলায় উল্লেখ করেছেন, চলতি বছরের ২৩ ফেব্রæয়ারি আসামি মারিয়ার সাথে তার বিয়ে হয়। অসুস্থতা বোধ করায় গত ১০ এপ্রিল তিনি স্ত্রীকে শহরের দড়াটানা হসপিটালে নিয়ে যান। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে দেখা যায়, মারিয়া ৮ সপ্তাহের গর্ভবর্তী। এ কারণে ইমন স্ত্রীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে বাড়ি ফিরে এসে মারিয়া তার পিতা কাজী ইব্রাহীমসহ অন্য আসামিদের মোবাইল ফোনে জানান। এরই মধ্যে গত ১৫ জুন আসামি কাজী ইব্রাহীম, লাকী খাতুন ও মিলন হোসেন শেখহাটিতে ইমনের বাড়িতে আসেন। পরে কাজী ইব্রাহীম তাকে নিজ বাড়িতে নেওয়ার কথা বলে মারিয়াকে সেখান থেকে নিয়ে যান। পরে তাকে ইমনের সংসার করতে হবেনা। তারা তাকে অন্যত্র বিয়ে দিবেন। এ জন্য গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে হবে বলে চাপাচাপি করে। এক পর্যায়ে মারিয়া তাদের কথায় রাজী হলে তারা শহরের রেল রোডস্থ আদ্-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে তার গর্ভপাত ঘটান। তখন আসামি মারিয়া চার মাসের গর্ভবর্তী ছিলেন।
রাতদিন সংবাদ