সৈয়দ নাইমুর রহমান ফিরোজ, নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইলে ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সম্মিলিত অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প’ অধিদপ্তরের আয়োজনে ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড এর সহযোগিতায় এক জনসচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২৮ জুলাই দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহম্মাদ হাবিবুর রহমান। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মাদ ফকরুল হাসান। সভায় অন্যান্যের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন নড়াইল পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ কামাল মেহেদী, ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড পরিবেশ পরামর্শক মোঃ মাছুম রেজা ও মোঃ ওয়াসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।
পরিবেশ পরামর্শক মোঃ মাছুম রেজা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে শব্দদূষণের ক্ষতিকারক দিক, শব্দদূষণের কারণ, উচ্চ শব্দের হর্ন, এলাকাভিত্তিক নীরব এলাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় সম্পর্কে উপস্থিত সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, ২০ ডেসিবেল শব্দের মাত্রা হলেই আমরা সেটি শুনতে পাই। এর কম হলে পারি না। ২০ থেকে ২০ হাজার হার্জ পর্যন্ত শব্দ আমরা শুনতে পারব। এর চেয়ে বেশি হলে আমাদের শ্রবণ শক্তি ক্ষতিগস্থ হবে।
উন্মুক্ত আলোচনায় স্বাস্থ্য ঝুঁকির একটি অন্যতম কারণ শব্দদূষণ এবং নগর জীবনে এর প্রভাব খুব বেশি বলে বক্তারা অভিমত ব্যাক্ত করে বলেন, মানুষ ও প্রাণীর শ্রবণ সীমা অতিক্রম করে এবং শ্রবণ শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্থ করে, সেটাই শব্দদূষণ।
সভায় আরও অভিমত ব্যাক্ত করা হয় যে, নির্মাণকাজ, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে এ সমস্যা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। শব্দদূষণের ফলে অনেকেই শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলছেন। যারা চালক বা বাইরে কাজ করেন তারা এ শব্দ দূষণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। শব্দদূষণের প্রভাবে দুশ্চিন্তা, উদ্বিগ্নতা, অবসাদ, নিদ্রাহীনতা, উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
বক্তারা আরও বলেন, শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় শব্দদূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি। নির্ধারিত নীরব এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া থাকলেও বাস্তবে সব স্থানেই শব্দের মাত্রা মাত্রাতিরিক্ত। নীরব এলাকার জন্য দিনের বেলা ৫০ ও রাতে ৪০ ডেসিবেল মাত্রা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ মাত্রা মেনে চলা হয় না। যতটুকু মাত্রায় হর্ন ব্যবহার করলে মানুষের ক্ষতি বা শব্দদূষণ হবে না, ততটুকু মাত্রায় হর্ন বাজাতে হবে। হাইড্রোলিক হর্ন বাজানো থেকে চালকদের বিরত থাকতে হবে এবং তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।