গরুর আমদানী থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় গরুর মালিক ও খামরীরা উদাসিনতা
লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধিঃ
ঈদের আর মাত্র দুই দিন বাকী। নড়াইলের লোহাগড়ার ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটে বৃহস্পতিবার আজ শেষ দিনে গরুর আমদানী থাকলেও ক্রেতা কম থাকায় গরুর মালিক ও খামরীরা হতাশাগ্রস্থ্য দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার বিকালে লোহাগড়ার ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটে যেয়ে দেখা যায়, হালকা বৃষ্টি হওয়ায় গরুর হাটে কাদা-পানি অবস্থায় গরুর মালিকরা ও খামারীরা গরু নিয়ে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। কিন্তুু সেই পরিমান গরুর খরিদ্দার মিলছেনা। তবে বড় গরুর চেয়ে মাঝারী গরুর চাহিদা একটু বেশী দেখা গেছে।
আমাদা গ্রামের খাঁন জিল্লুর রহমান বলেন,আমি সাতটা গরু হাটে এনেছি। গরুর খাবারের যে পরিমান মুল্য সে পরিমান গরুর মুল্য পাচ্ছিনা। তবে মাঝারী গরু একটু বেশী বিক্রি হচ্ছে। আমার সাতটা গরুর মধ্যে একটা তিন লক্ষ টাকা দাম চেয়েছি। খরিদ্দাররা দুই লক্ষ টাকা দাম বলছে, দুই লক্ষ বিশ হাজার টাকা হলে বিক্রি করব। এদিকে এক খরিদ্দার ওবায়দুর রহমান বলেন,আমি মাঝারী গরু কিনবো। কিন্তুু মাঝারী গরুর মুল্য একটু বেশী। সবমিলিয়ে লোহাগড়ার গরুর হাটের শেষ দিনে বিভিন্ন প্রকার গরুর চাহিদা হলেও বিক্রি কম হতে দেখা গেছে। গরু ক্রেতা আমাদা গ্রামের সরদার রইচউদ্দিন টিপু বলেন, হাটে গরু কিনতে এসেছিলাম হাটে বিভিন্ন প্রকার গরুর আমদানী চোখে পড়ার মত,তবে মাঝারী গরুর মুল্য একটু বেশী। এখনও গরু কিনতে পারি নাই, তবে কেনার ছেষ্টা করছি।
গরুর শেষ হাটে গরুর আমদানী চোখে পড়ারমত হলেও তবে গরু আমদানী হিসাবে গরু কম বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে কোন কোন গরুর মালিক ও খামারীরা মনে করেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যায় কবলিত হওয়ায় গরুর আমদানী বেশী হওয়ায় আজ শেষ দিনে গরু হিসাবে মুল্য কম মনে হচ্ছে।
এএন-৯