যশোর সদর উপজেলার বেড়ি নারায়নপুর গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী খায়রুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে আট মাস পরে তিন চাচার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছেলে। বৃহস্পতিবার খায়রুল ইসলামের ছেলে রায়হান হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি গ্রহণ করে এ ব্যাপারে থানায় কোন মামলা আছে কিনা থাকলে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন কোতয়ালি থানার ওসিকে।
আসামিরা সদরের বেড়ি নারায়পুর গ্রামের তিন ভাই কামরুল ইসলাম, পিকুল হোসেন, ও মারুফ হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, খায়রুল ইসলাম মানসিক রোগী ছিলেন। খায়রুলের স্ত্রী ও ছেলে রায়হান হোসেন তার নানা বাড়ি বাঘারপাড়ার মথুরাপুর গ্রামে থাকে। খায়রুলের ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর খায়রুল তার শ্বশুর বাড়ি যেয়ে স্ত্রী ও ছেলের সাথে দেখা করে আসে। ১৫ অক্টোবর খায়রুল নিখোঁজ হয়। ১৬ অক্টোরব বাঘাপাড়ার চিত্রা নদীর ব্রিজের নিচ থেমে খায়রুলের মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। আসামিরা পরিকল্পিত ভাবে খায়রুলকে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। এরপর খায়রুলের ছেলে রায়হান হোসেন তার চাচাদের কাছে প্রাপ্ত ৬ বিঘা জমি দাবি করলে আসামিরা তাকে পিতার মত হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দিবে বলে হুমকি দেয়। এরপর খোঁজ নিয়ে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ গ্রহণ না করায় আদালতে এ মামলা করেছেন।
এএন-১৩