যশোরে এক স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন ছবি তুলে ও অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে এক যুবকের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী আইনে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
বুধবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মামলাটি করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া শেখপাড়া এলাকার সৈয়দ ইকবাল হোসেনের ছেলে সৈয়দ সাদিক হোসেন ও তার সহযোগী একই পাড়ার কাজী বাবুর ছেলে কাজী মাহবুব মাহিন। পুলিশ কাজী মাহবুব মাহিনকে আটক করে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করেছে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন , সৈয়দ সাদিক হোসেন গত ৮/৯ মাস থেকে মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যাক্ত করে আসছিলো। বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিতো। এছাড়া মেয়ের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখাতেন। বিষয়টি বাদী জানতে পেরে সৈয়দ সাদিক হোসেনকে নিষেধ করেন। কিন্ত সাদিক হোসেন তার পরেও বাদীর মেয়ের সাথে একই ধরণের আচরণ অব্যাহত রাখেন। শেষমেষ তার মেয়ের প্রলোভনে পরে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হয়।
এমনকি তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরী হয়। গোপনে ওই শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণ করে আটক আসামি মাহাবুব। এরপর ওই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা। শেষমেষ টাকা না পেয়ে তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেয়। গত ২৮ জুন বিষয়টি বাদী ও তার মেয়ে জানতে পারে। এরপর মেয়ে অসুস্থ্য হয়ে পরে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সর্বশেষ বুধবার রাতে মামলা করেন বাদী। এদিন আটক মাহবুব আদালতে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বিকার করে জবানবন্দি দেন।
এএন-১০