Friday, April 26, 2024

পদ্মা সেতুতে দাড়িয়ে ছবি তুলে প্রধানমন্ত্রী আইন ভেঙেছেন : ডা.জাফরুল্লাহ

- Advertisement -

পদ্মা সেতুতে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই আইন ভেঙেছেন বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় পদ্মা সেতুতে গিয়ে সেলফি তুলেছে। অথচ, এর আগে ঘোষণা হয়েছে পদ্মা সেতুতে কোনো সেলফি তোলা যাবে না। তার মানে আইন তার জন্য না। একই আইন কখনোই দুই রকম হতে পারে না।

বুধবার (৬ জুলাই) বিকেলে অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নিজেই আইন করে নিজেই ভাঙার অন্যতম কারণ হলো গণতন্ত্র। আর এগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের কথা বলতে দিতে হবে। যতো কালাকানুন আছে উঠিয়ে নিতে হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, সরকার এতো দিন বলে আসছে বিদ্যুতে আমাদের সারপ্রাইজ। এখন বলছে সাশ্রয় করতে হবে। দুর্নীতি করলে যা হয়। আমরা এখন সে অবস্থায় আছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা ভালো কাজের সুফল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে আজকে পদ্মা সেতুর জন্য সাধারণ মানুষের হাসি কান্নায় পরিণত হয়েছে। আজকে চারদিকে অভাব অনটন, কান্না।

সাংবাদিকদের সংকটের সময়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সাংবাদিকদের সবসময় সহায়তা করার চেষ্টা করছে। সাংবাদিকদের সহায়তার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা দেবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি বলেন, সামনে কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতি পরিবারকে চার কেজি চাল, ১ কেজি মুরগীর মাংস, আধা লিটার সোয়বিন তেল, দুই কেজি আটা ও আলু, লবণ, মরিচের গুঁড়া, মসলাসহ একটি প্যাকেজ খাদ্য উপহার দিয়েছি। এতে একটি পরিবার অন্তত এক সপ্তাহ খেতে পারবে।

এর আগে দুপুর থেকে ঢাকা শহরে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্যের সামনে, কদমতলী, হাতিরপুল, পুরানা পল্টন, উত্তর বাড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকায় ২ হাজার পরিবারের মধ্যে ঈদ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এরআগে সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় ব্যাপকভাবে ত্রাণ বিতরণ ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ১৭ জুন থেকে বন্যার্তদের মধ্যে ১০০ টন শুকনো খাদ্য চিড়া, গুড় বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের প্রায় ২০ হাজার পরিবারকে ১০০ টন চিড়া ও গুড়, ২ লিটারের ৫ হাজার বোতল সুপেয় খাবার পানি ও গবাদি পশুদের জন্য ১৫ টন গোখাদ্য বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও সুনামগঞ্জের পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার, বিশ্বনাথ, সিলেটে ১০টি মেডিকেল ক্যাম্পে প্রায় ২ হাজার জনকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। বানবাসী দুই হাজার মানুষকে সুনামগঞ্জের পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, নওধার, বিশ্বনাথ, সিলেটে আশ্রয় দেওয়া হয়। সিলেটে ও সুনামগঞ্জের বন্যার্তদের মাঝে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা অব্যাহত থাকবে। বন্যা পরবর্তী কৃষি ও পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় সহযোগিতার হাত বাড়াবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।

এএন-৩

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত