Saturday, April 20, 2024

সুদেব দাসের ছোট বোনকে উত্যক্ত করার কারণেই চঞ্চলকে খুন, আদালতে স্বীকারোক্তি

সুদেব দাসের ছোট বোনকে উত্যক্ত করার কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে চঞ্চলকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যশোরের কেশবপুরে নরসুন্দর চঞ্চল দাস হত্যা মামলায় তিন আসামিকে আটকের পর এ তথ্য উঠে এসেছে। একই সাথে তাদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু, চঞ্চলের মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কেশবপুর থানায় মামলার পর শুক্রবার রাতে কেশবপুর মজিদপুর গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন, আনন্দ দাস, তার ছেলে সুদেব দাস ও পিন্টু দাসের ছেলে সুমন দাস। এ দিকে, আটকের পর শনিবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন সুদেব দাস ও সুমন দাস। জবানবন্দি গ্রহন শেষে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আরমান হোসেন তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আবু বকর সিদ্দিক। এরআগে এ ঘটনায় চঞ্চলের বাবা কার্তিক দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে কেশবপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার রাত ৭ টার পর চঞ্চলের মোবাইলে একটি কল আসে। কল পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় চঞ্চল । হঠাৎ রাত নয়টার পর প্রতিবেশী বিকাশের বাড়িতে হৈচৈ শুরু হয়। পরে তিনি যেয়ে দেখেন তার ছেলে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় উঠানে ছটফট করছে। চঞ্চলের গলা কাটা ও পেট কাটা অবস্থায় প্রথমে তাকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে খুলনায় নেয়ার পথে রাত ১১ টার পর চঞ্চলের মৃত্যু হয়। তিনি ধারণা করেন, দেড় বছর আগে আনন্দ দাসের মেয়েকে কেন্দ্র করে চঞ্চলের বিরুদ্ধে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছিলো। ওই মামলার জের ধরেই আনন্দ দাসসহ তার লোকজন চঞ্চলকে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু বাক্কার সিদ্দিকি বলেন, সুদেবের বোনকে চঞ্চল বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করতেন। এবিষয়ে মামলা হলেও চঞ্চল ক্ষ্যান্ত হননি। এরপর সুদেব ও সুমন মুলত চঞ্চলকে মারার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সুমন ওই রাতে মোবাইল করে পাশের কলাবাগানে ডেকে আনে চঞ্চলকে। এরমাঝে আগে থেকে উৎপেতে থাকা সুদেব চঞ্চলের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। একেরপর এক ছুরিকাঘাত করে। চঞ্চল গুরুতর আহত অবস্থায় দৌড় দিয়ে বিকাশের বাড়ি পর্যন্ত যায়। এরপর সে লুটিয়ে পরে।

রাতদিন সংবাদ

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

jashore-fish

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত