কখনো সাংবাদিক, কখনো আইনজীবী, কখনো শ্রমিক নেতা আবার কখনো আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয়ধারী যশোরের চিহ্নিত প্রতারক ইদ্রিস আলমকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটি তাকে যশোরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের তিনতলা থেকে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ সময় ইদ্রিস আলমের কাছ থেকে বিভিন্ন অখ্যাত পত্রিকার পাঁচটি পরিচয়পত্র, দুইটি পেনড্রাইভ, চারটি মোবাইল ফোন ও শ্রমিক ইউনিয়নের দুইটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি ও টাউট উচ্ছেদ কমিটির আহ্বায়ক খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন মুকুল। তিনি জানান, ইদ্রিস একসময় আইনজীবী সহকারী ছিলেন। পরে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু তারা বিরুদ্ধে সমিতিতে নানা ধরনের প্রতারণা অভিযোগ আসে। বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়। একপর্যায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়। একইসাথে নিষেধ করা হয় আদালত চত্বরে না আসতে। তারপরও ইদ্রিস প্রতিনিয়ত আদালতে এসে বিচারপ্রার্থীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেন। বিষয়টি সমিতির নজরে আসে। সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশেষ অভিযানে তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন বলেন, আদালত চত্বরে ইদ্রিস বিভিন্ন ধরনের অপকর্মে জড়িত। যা তারা প্রমাণ পেয়েছেন। তারা বলেন,অনিয়ম দুর্নীতির বিপক্ষে সমিতি কঠোর অবস্থানে। কোনো ধরনের অনিয়মের ছাড় দেবেন না তারা। এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ আদালতে গিয়ে ইদ্রিস আলমকে হেফাজতে নেয়। তার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।
রাতদিন সংবাদ
- Advertisement -