Wednesday, April 24, 2024

অর্থ হাতাতে জাল কাবিন সৃষ্টি, টাউট ইদ্রিসের বিরুদ্ধে এবার ডিসির কাছে অভিযোগ

- Advertisement -
প্রতারক ইদ্রিসের ভিজিটিং কার্ড

কখনো আইনজীবী, কখনো শ্রমিক নেতা, কখনো সাংবাদিক আবার কখনো রাজনৈতিক নেতা পরিচয় দিয়ে শহরের বিভিন্ন দপ্তরে দাপিয়ে বেড়ানো টাউট ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে এবার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। জাল কাবিননামায় বিয়ে দিয়ে টাকা গ্রহণ, বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানি,পত্রিকার কথা বলে টাকা আদায়সহ নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়েছে ইদ্রিসের বিরুদ্ধে। ঝিকরগাছা উপজেলার শিওরদাহ গ্রামের ইজ্জত আলী মুন্সির ছেলে ইমরান হোসেন ১৪ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর এ অভিযোগ করেছেন। একই অভিযোগ করেছেন যশোর জেলা আইনজীবী সমিতিতে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর ইমরানকে বিয়ে দেবেন বলে তার ভাই ইদ্রিসকে জানান। এদিন সদর উপজেলার রামনগর পান্তাপাড়া গ্রামের সাদেক আলীর মেয়ে খাদিজার সাথে ইমরানের বিয়ে ঠিক হয়। মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে সম্পন্ন করে উভয় পরিবার। ইদ্রিস একজন ভুয়া মৌলভী ডেকে এনে আইনজীবী সমিতির তিনতলায় তার অফিস কক্ষে বিয়ে পড়ান। বিয়ের পর খাদিজা স্বামী ইমরানের সাথে থাকবেন না বলে জানান। ইদ্রিস তখন ইমরানকে যশোরে ঘরভাড়া করে থাকতে বলেন। আর না থাকলে তিন লাখ টাকা দিতে বলেন।
ইমরান ইদ্রিসের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১০ আগস্ট খাদিজাকে দিয়ে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ করান ইদ্রিস। এরপর ১৩ আগস্ট ইদ্রিসের সাথে আইনজীবী সমিতির তৃতীয়তলায় ফের আলোচনা হয় ইমরানের পরিবারের। তখনো তিন লাখ টাকা দাবি করেন ইদ্রিস। এরপর ইদ্রিস একটি পত্রিকায় কৌশলে অসত্য সংবাদ প্রকাশ করান। ২০ আগস্ট ইমরানের বিরুদ্ধে যশোরের একটি আদালতে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়। এরপর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দিয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারক ইদ্রিস ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এক পর্যায়ে মামলার সংক্রান্ত কাগজপত্রের নকল উঠিয়ে ইমরান জানতে পারেন তার কাবিননামাটি জাল। তিনি ওই কাবিননামা নিয়ে জেলা রেজিস্ট্রারের কাছে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে জানতে পারেন। অর্থ্যাৎ খাদিজার সাথে তার বিয়ের ঘটনাটি ছিল সাজানো। মূলত প্রতারণার মাধ্যমে ইমরানের কাছ থেকে অর্থ হাতানোর জন্যে এ ধরনের ঘটনা সাজান ইদ্রিস।
আদালত ও জেলা আইনজীবী সমিতির সূত্র জানায়, ইদ্রিসের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি এই ইদ্রিসকে নানা অভিযোগের দায়ে আদালত প্রাঙ্গণে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা আইনজীবী সমিতি। কিন্তু তিনি যেন সেই নিষেধাজ্ঞার ধার ধারছেন না।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী জানান, ইদ্রিস আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে স্বীকার করে খুব শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রায়হান উদ্দীন

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত