নড়াইল প্রতিনিধি: বেশ আগে থেকেই নবগঙ্গা নদীর ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার ফেরিঘাটের পাশে ভাঙ্গণ প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৪ সালে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে সিসিব্লক ফেলে ভাঙ্গণ প্রতিরোধ করে। যে কারণে এলাকার মানুষ ভাঙ্গণের কবল থেকে মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তিবোধ করে।
গতকাল রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবগঙ্গা নদীর পাশ দিয়ে খুলনা-গোপালগন্জ ভায়া কালিয়া সড়ক চলে গেছে। বেন্দা এলাকার নবগঙ্গা নদীর তীর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে সড়কের দশ গজ দূরে এসে ঠেকেছে। নদীর ভাঙ্গণ প্রতিরোধে ফেলা হয় সিসিব্লক। খায়রুজ্জামান শেখ নামে একজন বালু ব্যবসায়ী ট্রলারে করে বালু ফেলছেন এই সিসিব্লকের ওপর। এতে বালুর চাপে সিসিব্লক নদীতে ধসে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।এলাকার মানুষ জানান, বালু ব্যবসায়ী খায়রুজ্জামানের বাড়ি কালিয়া উপজেলার বেন্দারচর গ্রামে।
সিসিব্লক রক্ষার্থে এলাকার মানুষ গতকাল বোরবার মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। তারা সিসিব্লকের ওপর বালু ফেলা বন্ধের দাবি জানান। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন।
বেন্দা গ্রামের নদী তীরবর্তী বাসিন্দা মিনতি বিশ্বাস, সুশিলা রানীসহ একাধিক বাসিন্দা জানান,পাকা ব্লক ফেলানোর জন্নি নদী ভাঙ্গণ বন্দ হইছিল। কিন্তু এহোন যদি তার ওপর বালু ফেলানো হয় তালিতো (তাহলে) ওই ব্লক নদীতে ধুয়ে (ধ্বসে) যাবেনে। আমাগে আবারো রাতেম হারাম হয়ে যাবেনে।
বালু ব্যবসায়ী মো.খায়রুজ্জামান শেখ বলেন,আমি কালিয়া পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর কোমল আখির কাছ থেকে দুই লাখ টাকা দিয়ে ওই স্থানে বালু রাখার জন্য ডিড করেছি। আমি জানতাম না এ জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের। তিনি বলেন,যদি পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায় তাহলে বালু রাখা বন্দ করে দেব।
মুঠোফোনে(০১৭১৪৯৬০০৭১)একাধিকবার কালিয়া পৌর সভার সাবেক কাউন্সিলর কোমল আখির সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।