রাজধানীতে শীতের সবজির দাম চড়া, সরবরাহ কম

রাজধানীর বাজারে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন সবজি। এ সময় সবজির দাম কম থাকার কথা থাকলেও দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র, এখনো চড়া বাজার। দু-একটি সবজির দাম রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। অন্যগুলো বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন সবজির সরবরাহ এখনো চাহিদা অনুযায়ী বাড়েনি। তাই দাম বেশি।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, ঝিগাতলা, লালবাগ বউ বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারগুলোয় দেখা গেছে, সবজির দাম বাড়তির দিকে থাকলেও কিছুটা কমে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ ও খোলা পামওয়েল। আর আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চাল, আলু, মাংস ও ডিম।

চলতি মাসে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। গত নভেম্বরে প্রতি কেজি টমেটো ১২০, কাঁচামরিচ ৯০ থেকে ১০০, গাজর ১০০, ধুন্দল, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়শ, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যেতো। বর্তমানে একই পরিমাণ গাজর ১৫০ থেকে ১৬০, কাঁচামরিচ ১৬০, টমেটো ১৬০, ধুন্দল, পটোল, ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়শ ও বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। এ ছাড়া শশা-কচুরমুখী ৮০, কম ঝাঁঝালো কাঁচামরিচ ১২০, করলা ১০০, পেঁপে ৫০, বরবটি ১০০, কলার হালি ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৬০, শালগম ১৪০, লেবুর হালি ১৫ থেকে ২০ টাকা। এ ছাড়া লালশাক, পালংশাক ১৫ টাকা আঁটি, পুঁইশাক ও লাউশাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা আঁটি, কলমিশাক ১৫ টাকা আঁটি বিক্রি হচ্ছে।

লালবাগ বউ বাজারের বিক্রেতা কামাল হোসেন কালবেলাকে বলেন, শীত এলেও সবজি সেভাবে বাজারে আসেনি। পুরোদমে শীতের সবজি আসা শুরু হলে কিছুদিনের মধ্যে দাম কমবে।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় খোলা পামঅয়েলের দাম প্রতি লিটারে ৫ এবং কেজিতে ৬ টাকা কমেছে। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা পামঅয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ আর কেজি ১৭৪ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল যথাক্রমে ১৬৫ এবং ১৮০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সয়াবিন তেলের দাম।

দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের দাম ১৪০ টাকা থাকলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। এ ছাড়া আলু ৭৫ থেকে ৮০, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০, রসুন ২২০ থেকে ২৪০ এবং আদা মানভেদে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে প্রতি হালিতে ১০ ও প্রতি ডজনে ৩০ টাকা করে দাম বেড়েছে হাঁসের ডিমের। বর্তমানে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৯০ ও প্রতি ডজন ২৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরিবর্তিত আছে মুরগির ডিমের দাম। প্রতি হালি ডিমের দাম ৫০, ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি আকার অনুযায়ী ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩২০, দেশি মুরগি ৫২০ থেকে ৫৩০, লেয়ার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে এগুলো পাওয়া যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ এবং খাসির মাংস বিক্রি হয় ১ হাজার ১০০ টাকায়।

পরিবর্তন নেই চালের দামে। প্রতি কেজি আটাশ চাল আগের মতোই ৬২ থেকে ৬৫, নতুন আটাশ ৫৬ থেকে ৬০, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭৪, পাইজাম ৬৭ থেকে ৬৮, বাসমতি ৯৪ থেকে ৯৮, আমন ৭০, পোলাও চাল ১২০, নাজির শাইল ৭৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

আকারভেদে মাছের দামে রয়েছে ভিন্নতা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫ কেজি ওজনের রুই মাছ ৪০০, এক কেজি ওজনের রুই মাছ ২৫০ থেকে ২৮০, চাষের শিং ৩৫০ থেকে ৫০০, বোয়াল ৫০০, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০, পোয়া ৪৫০, পাবদা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি কেজি কিশমিশ ৫২০ থেকে ৫৪০, এলাচ ৩ হাজার ৮০০, কালো এলাচ ৩ হাজার, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০, জয়ত্রি ২ হাজার ৯০০, পোস্তদানা ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। তবে মান ও বাজারভেদে মসলার দামে ভিন্নতা রয়েছে।

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর