সাবেক এক সংসদ সদস্যকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। এর আগে তিনি পিস্তল উঁচিয়ে ‘গুলি’ ছোড়েন। রোববার দুপুরে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার পারকুল খোয়াই সেতুতে এ ঘটনা ঘটে।
ওই সংসদ সদস্যের নাম রানা মোহাম্মদ সোহেল। সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। যদিও আটক হওয়ার সময় সোহেল নিজেকে শুধু সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুর ২টার দিকে একটি জিপ পারকুল খোয়াই সেতু পার হচ্ছিলো। এ সময় বিপরীত দিক থেকে শাহীন মিয়া নামে এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল নিয়ে সেতুতে ওঠেন। এতে আটকা পড়ে জিপটি। এ সময় চালকের আসন থেকে নেমে ওই ব্যক্তি মোটরসাইকেল আরোহীর সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে কোমর থেকে পিস্তল বের করে পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। তবে গুলি শাহীনের শরীরে লাগেনি। এরপর আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা ওই ব্যক্তিকে ধরে মারপিট করেন। এরপর চুনারুঘাট থানা পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় আটক হওয়া ব্যক্তির স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন।
এদিকে আহত শাহীন মিয়া জানান, ওই ব্যক্তি কোমর থেকে রিভলবার বের করে তাকে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি ছোড়েন। এ সময় তিনি মাটিতে গড়িয়ে পড়ায় রক্ষা পান। তবে পড়ে গিয়ে কিছুটা আহত হয়েছেন বলে জানান শাহীন।
ঘটনার পরই চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আটক ব্যক্তির পরিচয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে জানা যায় তিনি নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার রেজাউল হক খান বলেন, আটক ব্যক্তিকে রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল তাদের হেফাজতে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রটি চুনারুঘাট থানা পুলিশের মাধ্যমে জব্দ করা হয়েছে। তিনি কী কারণে গুলি ছোড়েন, বিষয়টি তদন্ত করলে জানা যাবে।
হবিগঞ্জ শাহজিবাজার সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেনের নেতৃত্বে একদল সেনাসদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ক্যাপ্টেন সামিউন বলেন, ঘটনাটি ভুল বোঝাবুঝি থেকে হয়েছে। আটক ব্যক্তি সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়েছেন। তবে অস্ত্রটি লাইসেন্স করা কি না, যাচাই করে দেখা হচ্ছে।
রাতদিন সংবাদ