যশোরের উপশহর থেকে নাদেরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির মামলার পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এই চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ।
অভিযুক্তরা হলেন, যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের আব্দুল আলিমের ছেলে আবুল হাসান , আবুল কালামের ছেলে ফারদিন হোসেন ফাহিম , খন্দকার রবিউল ইসলাম মনির ছেলে খন্দকার মুক্তাকিন হোসেন রক্সি , ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের জাহিদুল ইসলামের ছেলে ইসরাতুল ইসলাম প্রান্ত ও বাঘারপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম মোল্লা রফির ছেলে বর্তমানে যশোর শহরতলীর শেখহাটি মিয়াবাড়ি মোড় এলাকার সবুজ মোল্লা ওরফে হুরাইয়া । এসআই সোলাইমান আক্কাস তদন্ত শেষে এ চার্জশিট জমা দেন।
মামলার বিবরনে ও তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, নাদেরুজ্জামানের বাড়ি চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা গ্রামে। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে যশোর শহরের উপশহর কলেজের পেছনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার ছেলে শাওন হোসেন চৌগাছা উপজেলার ফুলসারা বাজারে ইন্টারনেটের ব্যবসা করেন। চলতি বছরের ২৯ মার্চ বিকেলে র্যাব পরিচয়ে তাদের যশোর উপশহরের ভাড়া বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি এবং গামছা দিয়ে নাদেরুজ্জামানের চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায় একদল সন্ত্রাসী। এরপর পরিবারের কাছে পাঁচলাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। শাওন এক লাখ ৯১ হাজার টাকা নিয়ে যেখানে তার বাবাকে আটক রাখা হয় সেখানে যান। কিন্তু ওই টাকা নিয়ে বাকি টাকার জন্য চাপ দেয়। পরে শাওন বের হয়ে ডিবি পুলিশকে খবর দেয়। অন্যদিকে র্যাব পরিচয়দানকারী ব্যক্তিরা শাওন হোসেনকে পালবাড়ি কাঁচা বাজার রোডের তপন দেবনাথের দোকানের সামনে টাকা নিয়ে যেতে বলেন। এরপর ডিবি পুলিশকে সাথে নিয়ে শাওন সেখানে যান। হাতে নাতে আবুল হাসান, ফারদিন হোসেন ফাহিম, ইসলাতুল ইসলাম প্রান্ত ও সবুজ মোল্লা ওরফে হুরাইয়াকে আটক এবং তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে নাদেরুজ্জামানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে কৌশলে পালিয়ে যান তাদের সহযোগী খন্দকার মুক্তাকিন হোসেন রক্সি। এ ঘটনায় শাওন হোসেন কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। এই মামলার তদন্ত শেষে উল্লিখিত পাঁচ জনকে অভিযুক্ত করে সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে ডিবি পুলিশ।