মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধিঃ মনিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিশু শিক্ষার্থী গন-হিস্টিরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করার পর এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ঘটনা জানতে সরেজমিন মনিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু মুত্তালিব আলম। এসময় তাদের সাথে মনিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন রশিদ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম হালদার জানান, সকাল ১০টার দিকে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পরপরই কয়েকজনের শরীর চুলকাতে থাকে। এরপর একে একে চুলকানি বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, বিষয়টি মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধানকে জানালে তিনি শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। দ্রæত আমি ৮০ থেকে ৯০ জন ছাত্র ছাত্রীকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। পরে আরও কয়েকজনকে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল থেকে অর্ধশত শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে।
আক্রান্ত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা শ্রেণিকক্ষে ঢুকে বেঞ্চে হাত দেওয়া মাত্র শরীর চুলকাতে থাকে। এরপর যে শিক্ষার্থী বেঞ্চে হাত দিয়েছে তার দেহ চুলকাতে শুরু করেছে। মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তন্ময় বিশ্বাস বলেন, হাসপাতাল থেকে শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সবাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছি। তন্ময় বিশ্বাস আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এটাকে আমরা গন হিস্টিরিয়া বলে থাকি। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ। নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এলার্জিজনিত কারণে এমনটি হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন রশিদ, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুল বাসার ওমর ফারুক ও সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম হালদারের সমন্বয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিবেদন দিলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
এ ঘটনার পর এলাকায় ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকরা আতংকের মধ্যে রয়েছে।
আর কে-০৬