অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৪ বছর পর নিজ দেশে ফিরে বিমান বন্দরে পুলিশি হয়রানি শিকার হলেন,প্রবাসী সাংবাদিক অস্ট্রেলিয়ার একমাত্র বাংলা সংবাদপত্র সুপ্রভাত সিডনির প্রধান সম্পাদক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুদ আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম। তাকে ১৪ ঘণ্টা পুলিশি হয়রানির শিকার হতে হয়েছেন।
আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম, সিডনি থেকে চায়না এয়ারওয়েজে গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বিমানবন্দরে নামলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সাংবাদিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম জানান, সাংবাদিকদের বলেছেন ,পতিত সরকার তার পত্রিকা বাংলাদেশে প্রবেশে নিষিদ্ধ করে। একই সাথে অনলাইনে গুগল থেকে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে বাংলাদেশ থেকে কেউ অনলাইনে সুপ্রভাত সিডনি দেখতে পেত না। এসময় অস্ট্রেলিয়ার সিডনিসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন মিছিল মিটিং অব্যাহত রাখি। ৫ আগস্টে সরকারের পতন হওয়ার পর অন্তবর্তীকালীন সরকার বাংলাদেশে “সুপ্রভাত সিডনির” বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন। এরপর গত ৭ নভেম্বর দীর্ঘ১৪ বছর পরে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম ঢাকা হয়রত শাহজালাল বিমানবন্দরে নামলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করেন। অহেতুক তাকে আটকের বিষয়টি আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের জানতে চাইলে সিআইডি পুলিশের গত২০১৮ সালের একটি মামলায় আমাকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়েছে বলে জানান। তবে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীমের বিরুদ্ধে কোন আটকাদেশ দেখাতে পারেননি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা।
সাংবাদিক আব্দুল্লাহ ইউসুফ শামীম দেশের গণমাধ্যমকে জানান, অস্ট্রেলিয়া সাংবাদিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাদের যোগাযোগ করি। এসময় অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী টনি বার্ক, ক্যান্টবরি ব্যাংকটাউন মেয়র বিলাল আল হ্যায়েক (Bilal El Hayke),অস্ট্রেলিয়ার সাংবাদিকসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিএনপি নেতা অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, বিভিন্ন উপদেষ্টা ও সচিবদের যোগাযোগ করেন। অস্ট্রেলিয়া ইমিগ্রেশন মন্ত্রী টনি বার্ক সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া,বিভিন্ন উপদেষ্টা, বিভিন্ন সচিবদের হস্তক্ষেপে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ১৪ ঘন্টা পর আমাকে ছেড়ে বাধ্য হয়।এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা তাকে জানিয়েছেন, দেশ থেকে আবার দেশের বাইরে যেতে হলে স্বপক্ষে মামলার কাগজপত্র দেখাতে না পারলে আপনাকে বিমানে উঠতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন,যেখানে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারছে না। সেখানে একজন সাংবাদিক কিভাবে দেখাবে এমন প্রশ্ন করলে পতিত সরকারের দোষর পুলিশ সদস্যরা কোন উত্তর দিতে পারেনি। এভাবে আটকের কোন আইনগত ভিত্তি নেই বলে একজন আইনজীবীরা জানিয়েছেন। এভাবে হয়রানি করলে তার দায়ভার কে নেবে সেটা আমার প্রশ্ন।
অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসী সাংবাদিকদের অনুরোধ,আপনারা যারা ফ্যাসিষ্ট, খুনি হাসিনা সরকারের পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে যারা বিভিন্ন সময় আন্দোলন, মিছিল মিটিংসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা দেশে আসার আগে অবশ্যই আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করে আপনার বিরুদ্ধে খুনি হাসিনার কোন মামলা দিয়েছে কিনা নিশ্চিত হয়ে আসবেন। নতুবা আমার মত পুলিশী হয়রানি শিকার হতে হবে।
রাতদিন সংবাদ