অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন তিন উপদেষ্টার মধ্যে শেখ বশিরউদ্দীনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার প্রতিবাদে যশোরের রাজপথে নেমেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।শিল্পগোষ্ঠী আকিজ-বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেখ বশিরউদ্দীন শিল্পপতি শেখ আকিজ উদ্দিনের সন্তান ও শার্শা-১ আসনের আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি শেখ আফিল উদ্দিনের ভাই।
রোববার শেখ বশির উদ্দীনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার সংবাদ শুনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের যশোরের সমন্বয়ক যবিপ্রবির রাশেদ খানের নেতৃত্বে ছাত্রসমাজ দড়টানার ভৈরব চত্তরে জড় হয়। রাত সাড়ে ১০ টার পর তারা ভৈরব চত্তরে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, বশির উদ্দিন ছাত্রআন্দোলনে ছাত্রদের হত্যার সাথে জড়িত। তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার আসামি। বশিরকে জায়গা দেয়া মানে এ আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা। এমন সিদ্ধান্ত আমরা মানিনা। তারা বলেন, হাজারও প্রাণের বিনিময়ে আসা অন্তর্বর্তী সরকারে বশির উদ্দিনের ঠাঁই হলো কীভাবে, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তারা অবিলম্বে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে শেখ বশিরকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।
পরে রাত ১১ টার পর যশোর শহরে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা। এসময় ‘‘খুনি বশিরের গদিতে আগুন জালো একসাথে, আমার ভাই কবরে বশির কেন গদিতে’’ ‘‘আমার সোনার বাংলায় বশিরের ঠাই নেই’’ ‘আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মানি না, মানব না’ ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা । শ্লোগানে শ্লোগানে কম্পিত হয়ে উঠে যশোর শহর। মিছিলটি ভৈরব চত্তর থেকে শুরু হয়ে চিত্রামোড়, চৌরাস্তাসহ শহরের গুরুত্বপূর্ন সড়ক পদক্ষিন করে দড়াটানায় এসে শেষ হয়।
এ বিষয়ে সম্বনয়ক রাশেদ খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা সকলেই সজাগ রয়েছেন। যেকোনো অন্যায়ের প্রতিবাদের তারা রাজপথে নামতে প্রস্তুত। এ ধরণের স্বিদ্ধান্ত আমরা মানিনা। মানবো না। রক্ত দিয়েছি প্রয়োজনে আরও রক্ত দেব তবুও সৈরাচার হাসিনার দোশরদের বাংলার মাটিতে ঠাঁই দেবোনা।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলে অংশ নেন ছাত্রনেতা মারুফ হাসান সূকর্ন, ফাহিম আল ফাত্তার, বিএম আকাশ, নুর ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, আল মাহমুদ লিখন, সজিব আহম্মেদ সানসহ অন্যান্যরা।
বিশেষ প্রতিনিধি