মণিরামপুর উপজেলার গাংগুলিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সমালোচিত সহকারী শিক্ষক মাওলানা ফরিদ উদ্দিন টালমাটাল হয়ে পরেছেন। এবার গাঁ বাচাতে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা তাঞ্জুয়ারা খাতুনসহ যশোরের তিনটি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানীর অভিযোগে মামলা করেছেন। রোববার মামলা করলে বিচারক পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এরআগে কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শিক্ষিকাকে নানাভাবে হয়রাণি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠে ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বাধ্য হয়ে ওই শিক্ষিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার অফিসার ইনচার্জ ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন। ওই অভিযোগের সূত্র ধরে যশোরের তিনটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে করে মানহানী হয়েছে দাবি করে আদালতে মামলা করেছেন ফরিদ।
এদিকে, যশোরের বহুল প্রকাশিত দৈনিক গ্রামেরকাগজ, দৈনিক স্পন্দন ও দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
মামলায় মাওলানা ফরিদ উল্লেখ করেন, তিনি সুনামের সাথে শিক্ষকতা করে আসছেন। এরমধ্যে সহকারী শিক্ষিকা তাঞ্জুয়ারা খাতুনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এরজেরে গত ৯ অক্টোবর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় তার মানহানী হয়েছে।
এদিকে, ৯ অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয় ওই শিক্ষক আওয়ামী লীগ দলীয় প্রভাবশালী নেতা ছিলেন। যে কারণে বিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম তার হাতের ইশারায় চলে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককেও এই মাওলানা শিক্ষক যেভাবে চালান, তিনি সেই ভাবেই চলেন। ফরিদ উদ্দিন একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে নিজের আয়ত্বে আনতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে প্রধান শিক্ষককে দিয়ে সহকারী শিক্ষিকাকে বিভিন্নভাবে হেনস্থ করেছেন। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে উচ্চতর স্কেল পাইয়ে দিতে ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। সেই টাকা মাওলানা শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক ভাগাভাগি করে নেন বলে ওই শিক্ষিকা দাবি করেন। এসব বিষয়ে তাঞ্জুয়ারা খাতুন বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে যশোরের ওই তিন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে, এক শিক্ষকের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেওয়া ও তার সূত্রধরে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর সংবাদপত্রের প্রকাশক ও সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি কেউই মেনে নিতে পারছেন না। দ্রুত এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক সমাজ।
রাতদিন সংবাদ