যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, গেল ৫ আগস্ট ছাত্র- জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে ধরে রাখতে হলে লড়াইয়ের ময়দান থেকে ঘরে ফেরার কোন সুযোগ নেই। আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এ লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্যে অবিচল থেকে আমাদের লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। যেটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি বড় হয়ে অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে ভাবে ত্রাণ কর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন। ঠিক একই ভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর পুনরায় ত্রাণ কর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়ে সদ্য স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছিলেন। সেদিন তিনি দিশেহারী জাতিকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন।
সর্বশেষ তিনি বলেন, শেখ হাসিনার বৈষম্য শিকার গোটা জাতি ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করেছে। কিন্তু এখনো চুড়ান্ত অর্জন হয়নি। এই বিজয়কে নস্যাৎ করার চক্রান্ত চলছে। এ থেকে সকলকে সর্বদা সজাগ থাকার আহŸান জানান অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, যুগ্ম-আহŸায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাসুম প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন, জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু। আলোচনা সভা শেষে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের নেতৃত্বে মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে খুলনা বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য গোলাম রেজা দুলু, মো. মুসা, মিজানুর রহমান খান, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু, মারুফুল ইসলাম, কাজী আজম, জেলা বিএনপির সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মাহতাব নাসির পলাশ, শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল হাসান জহির প্রমুখ।
রাতদিন সংবাদ