Saturday, December 14, 2024

যশোরে ব্যবসায়ী হত্যার ঘটনায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ভাইয়ের মামলা

শহরতলী খোলাডাঙ্গা গ্রামের সার-গোডাউন গাজী বাজারে গত ৪ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম সজল (৪৩) হত্যাকান্ডের ঘটনায় কোতয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ৫ নভেম্বর রাতে মামলাটি করেন, নিহত সজলের বড় ভাই খোলাডাঙ্গা মুন্সিপাড়া এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে আজাহারুল ইসলাম।

মামলায় আসামী করেন, সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে খোড়া কামরুল, একই এলাকার মাহবুব মুন্সির ছেলে টিটো, টোকনের ছেলে স্বরণ, আলম সিদ্দিকের ছেলে লাবিব, তফজেলের ছেলে মুন্না, শহরের ষ্টেডিয়াম গেটের বিপরীতের আব্দুল মাজেদের ছেলে মুরসালিনসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫জন।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন,তার ছোট ভাই আমিনুল ইসলাম সজল এর খোলাডাঙ্গা গ্রামের সার-গোডাউন গাজীর বাজারে হার্ডওয়্যার এন্ড সেনেটারীর দোকান আছে। বাদির বাড়ি ও আসামীদের একই গ্রামে। আসামীদের সাথে বাদির ভাইয়ের পূর্ব হতে বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৭টার পর খোলাডাঙ্গা গ্রামস্থ সার-গোডাউন গাজীর বাজারে বাদির ভাই তার দোকানে বেচাকেনা করে দোকান থেকে এশার নামাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে জনৈক আইয়ূব গাজীর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছালে বাদির বাইয়ের চলার গতিরোধ করে পূর্ব পরিকল্পতভাবে সজলকে খুন করার উদ্দেশ্যে কামরুজ্জামান ওরফে খোড়া কামরুল ধারালো চাকু দিয়ে উপর্যুপরি কোপ মেরে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসী টিটো ধারালো চাকু দিয়ে বাদির ভাইকে খুন করার উদ্দেশ্যে কোপ মারলে উক্ত কোপ বাদির ভাইয়ের ডান বাহুতে লেগে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। অন্যান্য আসামীরা ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। এক পর্যায়ে সজল মাটিতে পড়ে গেলে আসামী লাবিব ও মুন্না বাদির ভাইয়ের দুই পা ধরে রাখে এবং আসামী কামরুজ্জামান ওরফে খোড়া কামরুল ও টিটোসহ তাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীদের হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে ডান পিঠে ও বুকে উপর্যূপরি কোপ মেরে মারাত্মক জখম করে। আসামীদের সজলের মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন সজলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষনা করে।

রাতদিন সংবাদ

 

 

 

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর