Saturday, December 14, 2024

যশোরে বদলী সাক্ষী দেয়ায় আটক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে মামলা, কারাগারে প্রেরন

মারামারি মামলায় বদলী সাক্ষী দেয়ায় মনিরুজ্জামান এক যুবক আটক হয়েছে। সোমবার অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লস্কার সোহেল রানা বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আটকের আদেশ দেন।

মনিরুজ্জামান বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের কাদের আলী সরদারের ছেলে।

পরর্তীতে আটক মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অতিরিক্তি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন বাদী হয়ে সদর আমলী আদালে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোলের পুটখালি গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রীর সেলিনা বেগম একটি মারামারি মামলার বাদী। সোমবার ছিল এ মামলার সাক্ষী গ্রহনের দিন। এদিন সেলিনা বাড়ি থেকে যশোর আদালতে আসার সময় তার জামাই মনিরুজ্জামানকে সাথে নিয়ে আসেন।

মামলার বাদী সেলিনা বেগম অতিরিক্তি দায়রা জজ আদালতের এপিপি মাহাবুবুর রহমানের কাছে হাজিরা দেন। হাজিরা মতে মামলার বাদী সেলিনা বেগমকে সাক্ষী দেয়ার জন্য ডাকা হয়। বাদী সেলিনা বেগম সাক্ষী দেয়ার আগে আসমিদের সাথে মীমাংসা হয়েগেছে বলে আর মামলা চালাতে ইচ্ছুক নয় বলে বিচারকের মৌখিক ভাবে আবেদন করেন। বিচারক মামলার বাদী সেলিনা বেগমের সাক্ষী গ্রহন করে আরও একজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিবেন বলে জানান।

মামলার বাদী সেলিনা বেগম এপিপি মাহাবুবুর রহমানকে সাক্ষী উপস্থিত আছে বলে জানান। এপিপি মাহাবুবুর রহমান তখন চার্জশিটের তালিকাভুক্ত সাক্ষী জাকিরের হাজিরা জমা দেন আদালতে। ডাকমতে এজলাসে আসেন বদলী সাক্ষী বাদী জামাই মনিরুজ্জামান। শপথ নিয়ে জাকিরের বদলী সাক্ষী মনিরুজ্জামান সাক্ষ্য দিতে শুরু করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রেকর্ড করা সাক্ষীর বক্তব্যে অমিল পাওয়ায় বিচারকের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে বিচারক সাক্ষী ফিরোজের মোবাইলন নম্বর জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় মনিরুজ্জামানের দেয়া মোবাইল নম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তার জবনবন্দির মোবাইল নম্বরের সাথে মিল না পেয়ে সন্দেহ আরও বেড়ে যায় বিচারকের। একপর্যায়ে মনিরুজ্জামান শিকার করে সে ফিরোজের বদলী সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছে। এ সময় এজলাসে উপস্থিত পুলিশকে বদলী সাক্ষী মনিরুজ্জামানকে আটকের নির্দেশ দেন। এ ঘটনায় সদর আমলী আদালতে মামলা করেন পেশকার মোজাফ্ফর হোসেন। বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে আটক আসামি মনিরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের এপিপি মাহাবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মামলার বাদী সেলিনা বেগম একাই সাক্ষী দিবে বলে হাজিরা দিয়েছিল। বাদীর মৌখিক আবেদনে মামলাটি মীমাংসা হয়ে গেছে বলে বিচারক আর একজন সাক্ষীর বক্তব্য নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় বাদী সেলিনা জানায় সাক্ষী উপস্থিত আছে। তখন আমি চার্জশিটে উল্লেখিত সাক্ষী ফিরোজের হাজিরা জমা দি। সাক্ষ্য দেয়ার সময় বিচারক বদলী সাক্ষী বুঝতে পেরে তাকে আটকের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

রাতদিন সংবাদ/আর কে-১২

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর