বাঘারপাড়া থানার এসআই পলাশ মিয়ার বিরুদ্ধে দরাজহাট গ্রামের বৃদ্ধা মনজুরা বুড়ির কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবি ও টাকা না দেয়ায় লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ এনে ভুক্তোভোগী মনজুরা বুড়ি রোববার যশোর পুলিশ সুপারের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। যদিও পুলিশ বলছেন মনজুরা একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ।
মনজুরা বুড়ির অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তিনি বাঘারপাড়ার দরাজহাট গ্রামের মধ্যপাড়ার এক বছর আগে জমি কিনে স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। গত ১৯ অক্টোবর বাঘারপাড়া থানার এসআই পলাশ ফোন করে প্রতিবেশীর বাড়ি দেখা করতে বলেন। ফোনে হুমকির এক পর্যায়ে তিনি প্রতিবেশীর বাড়ি যেয়ে এসআই পলাশ ও তার এক সহযোগীকে দেখতে পান। এসআই পলাশ বিভিন্ন অপবাদ ও হুমকি দিয়ে ১০ হাজার টাকা টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করারয় প্রতিবেশীর বাড়ির লোকজনের সামনে তার গায়ে হাত তোলেন এসআই পলাশ। একপর্যায়ে এসআই পলাশকে টাকা না দেয়ায় তাকে ধরে নিয়ে মামলা দেয়ায় হুমকি দেন । এসআই পলাশের হুমকির মুখে নিরুপায় হয়ে মনজুরা যশোর পুলিশ সুপারের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই পলাশ মিয়া গ্রামেরকাগজকে বলেন, মনজুরা বুড়ি নামের কাউকে তিনি চেনেনই না। এই নাম তিনি প্রথম শুনলেন। তিনি বলেন, পারতে তিনি প্রমাণ করুক আমি তার কাছে টাকা চেয়েছি।
এদিকে, এসআই পলাশ মিয়া মনজুরা বুড়িকে চেনেন না বললেও এ বিষয়ে বাঘারপাড়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আলীম বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি জানিয়েছেন, ওই মনজুরা বুড়ি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে। মুলত ওসি থানায় নতুন যোগদান করেছেন। যোগদানের পর এসআই পলাশ তাকে মনজুরা বুড়ির কথা বলেছেন। ওই মনজুরা পলাশকে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করছেন বলেও ওসি জানিয়েছিলেন পলাশ।
এদিকে, স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে মনজুরা বুড়ির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। যেটাকে পুজি করে এসআই পলাশ ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু তা ভেস্তে গেছে। আর স্থানীয় একটি পক্ষ মনজুরাকে ব্যবহার করছে পলাশের বিরুদ্ধে।
রাতদিন সংবাদ/আর কে-০৯