যশোর শহরের খড়কি বামনপাড়ার লেদ শ্রমিক রিপন হোসেন হত্যা মামলায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুরাতনকসবা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক রেজাউল করিম। অভিযুক্ত আসামিরা হলো, মোল্লাপাড়া বাঁশতলা বর্তমানে গাড়িখানা রোডের মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে হাসিব ওরফে আসাফি খান, রেলগেট পাশ্চিমপাড়ার লিয়াকত আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন দেলু, খড়কী এলাকার মাজেদের ছেলে সাকলাইন মোস্তাক, আবুল কামালের ছেলে বিল্লাল হোসেন, রেলগেট এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে পিচ্চি রাজা ওরফে রাজু শেখ, সাহেব আলীর ছেলে রায়হান আহম্মেদ রানা, রেলগেট কয়লাপট্টির জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে হাসমত আলীর ছেলে জাকির হোসেন সাগর ওরফে মুই সাগর ওরফে মনি সাগর, এবং ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের আবুল কাশেমের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ, খড়কি পীরবাড়ি এলাকার শামসুর গাজীর ছেলে ফরিদ হোসেন, কড়কির শাহ আব্দুল করিম রোডের বাসিন্দা আজিম গোলদারের ছেলে তামিম হোসেন সজিব ও শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়ার আতিয়ার রহমানের ছেলে জুয়েল মোড়ল। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আশিকুজ্জামান জিসানের অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, রিপন একজন লেদ শ্রমিক। আসামিদের সাথে তার পূর্ব বিরোধ ছিলো। ২০১৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাত পৌনে আটটার দিকে রিপন তার বন্ধু মোস্তাফিজুর রহমান ও সিদ্দিকের ছেলে বিপুলকে সাথে নিয়ে মুজিব সড়কে কেনাকাটা করতে যায়। এ সময় আসামিরা রিপনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাতে গুরুতর জখশ করে রাস্তার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে আশেপাশের লোকজন গুরুতর আহত রিপনসহ অপর আহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক রিপনকে মৃত ঘোষনা করেন। এ ঘটনায় নিহতের মা খড়কি বামনপাড়ার রূপবান বেগম বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষিদের
বক্তব্যে হত্যার সাথে জড়িত থাকায় ওই ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত হাসিব, তামিম ও জুয়েলকে পলাতক দেখানো হয়েছে।
রাতদিন সংবাদ,জয়-