ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির (শায়খে চরমোনাই) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করিম বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পরে (শেখ হাসিনার পতনের দিন) দেশে আবারও অত্যাচার শুরু হয়েছে। যেই কারণে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থী জীবন দিয়েছে সেই একই আচরণ করা হচ্ছে এখন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। চাঁদাবাজি, ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা চলছে।’
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে নরসিংদীর মাধবদী এসপি ইনস্টিটিউট মাঠে ‘ভারতীয় পানি আগ্রসনের’ প্রতিবাদ সমাবেশের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় ফয়জুল করিম বলেন, ‘আমরা চাই, দেশের শ্রমিক, মজুর সবাই সমান মর্যাদা পাক। হিন্দু মুসলিম সবাই সমান। মসজিদ নিয়ে কেউ রাজনীতি করে না, কিন্তু মন্দির নিয়ে রাজনীতি করে। একটা দল মন্দির ভেঙে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। আমরা মন্দির পাহারা দিয়েছি। ইসলামী দল ক্ষমতায় এলে সবাই দরজা খুলে ঘুমাতে পারবে। সরকারি এমন কোনও প্রতিষ্ঠান নেই, গত ১৬ বছরে যেখানে ধ্বংস হয়নি। আগামী সরকার হবে ইসলামী সরকার, আগামীর রাষ্ট্র হবে ইসলামী রাষ্ট্র। সেই রাষ্ট্রে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই তাদের সমান অধিকার পাবে।’
সমাবেশের বিশেষ অতিথি মাওলানা গাজী আতাউর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে, ভারতের দালালদের পতন হয়েছে। এবার আমাদের সময় এসেছে দায়িত্ব নেওয়ার। ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনের প্রতিবাদ যারা করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। যেসব শিক্ষার্থী দেশের জন্য জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই, দ্রুত নির্বাচন হোক। তবে এর আগে সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের প্রয়োজন। এখনও অনেক কাজ বাকি। সামনের নির্বাচনে জনগণই তাদের সরকার বেছে নেবে। এই দেশের যেকোনও ধর্মের মানুষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কাছে নিরাপদ। ইসলামী আন্দোলনের হাতে নারীদের অধিকারও সুরক্ষিত থাকবে।’