বাঘারপাড়া (যশোর) অফিস : অপরিকল্পিতভাবে আশ্রয়নের ঘর নির্মান করায় বিপাকে পড়েছে বসবাসকারিরা। চলতি বর্ষায় যাতায়াতের রাস্তায় হাটুপানি জমে যাচ্ছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে পনেরটি পরিবার। বাঘারপাড়ার নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে নির্মিত আশ্রায়ন প্রকল্পে এমন দৃশ্য দেখাগেছে সরেজমিনে। দৌলতপুর আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে বসবাসকারিরা জানিয়েছে, একবছর আগে তারা ঘরে উঠেছেন। পাশাপাশি দুইটি প্রকল্পে ২০টি ঘর নির্মান হয়েছে। পারিপার্শিক পরিবেশ ভাল না হওয়ায় এখনও কয়েকটি ঘর খালি রয়েছে। ঘরের দুই পাশের জমিতে ধান চাষ হয়। চাষের জমিতে পানি থাকলে যাতায়াতের রাস্তাতে পানি জমে থাকে। ঘরে ওঠার পর থেকে এ পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নেননি। যাতায়াতের রাস্তায় পানি জমে থাকার বিষয়টি শুধু বর্ষাকালে হয় এমনটি না। বোরো আবাদের সময়ও একই সমস্যা হয়। পাঁচ নম্বর ঘরে বাস করেন পিঞ্জিরা খাতুন। তিনি জানিয়েছেন, গত বর্ষায়তেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। কয়েকজন মিলে নিজেদের অর্থে ঘরের গলি পথে কিছু মাটি দিয়েছি। মূল রাস্তায় মাটি দেওয়া সম্ভব হয়নি। জলাবদ্ধতার কারণে খুব সমস্যায় আছি। রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, ১৫ পি পরিবারের মাত্র একটি টিউবয়েল। তাও আবার দ্ইু প্রকল্পের মাঝখানে । বর্ষায় বারবার পানি আনতে খুবই ভোগান্তি হয়। গত উপজেলা নির্বাচনের সময় টিউবয়েলটি রাজিব রায় দিয়েছেন। আমদের খোঁজ কেউই নেন না। এ বিষয়ে নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবলু কুমার সাহা জানিয়েছেন, দ্রুত টিউবয়েলের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর বর্ষা পার না হলে রাস্তায় মাটি দেওয়ার কাজটি করা যাচ্ছে না।
রাতদিন সংবাদ,জয়-