কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ইন্টারনেটে নানা গুজব ও সংহিসতামূলক কনটেন্ট ছড়ানোর কারণে সাময়িকভাবে কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এর মাধ্যমে ফেসবুকসহ অনান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশ করছেন দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। আর এই ভিপিএনের ব্যবহার সাইবার ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এজন্য দেশে বড় ধরনের সাইবার হামলার আশঙ্কাও করেন তিনি ।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বিদ্যুৎ, জ্বালানি, টেলিকম, ব্যাংক ও তৈরি পোশাকসহ রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠান বড় ধরনের সাইবার হামলার ঝুঁকিতে আছে। বিভিন্ন রাষ্ট্রের মদদে দেশে সাইবার হামলার অপচেষ্টা চলছে।’
তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ৩৫টি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, মাত্র আটটি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।’
এদিকে ইন্টারনেটে গুজব ও সংহিসতামূলক কনটেন্ট ছড়ানোর ব্যাখ্যা চেয়ে ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটঅ্যাপ-সহ অনান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ইমেইলে চিঠি দিয়েছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। চিঠিতে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু টিকটক ছাড়া বাকি কোনও সংস্থাই সরকারের ইমেইলের জবাব দেয়নি বলে জানান জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে এখনও তিনি এসব প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জবাব পাবেন বলে আশাবাদী।
-অনলাইন ডেস্ক