গত ২৯ মার্চ রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই মেডিক্যাল কলেজে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষিত হয়। এরপরেই অসন্তোষ দেখা দেয় কলেজটিতে।
জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগের দিন রাতে ক্যাম্পাসে বহিরাগত এবং শিবির ক্যাডারদের নিয়ে শোডাউন ও ভাংচুর করে মুহিত-তানভীর। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ মুহিতের ইন্টার্নশিপ স্থগিত করলেও তানভীরের কোনও শাস্তি হয়নি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এই বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও গত ২৯ মার্চ ঘোষিত কমিটিতে মুহিত-তানভীরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
সোমবার বহিষ্কৃত মুহিত ও অভিযুক্ত তানভীরকে ছাত্রলীগের বাকি সদস্যরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলে বহিরাগতদের নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। এতে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি প্রিন্স সাহাসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।
সহ-সভাপতি প্রিন্স সাহা বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ বহিষ্কার করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করায় বহিরাগতদের নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমি ছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছ। এই বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান বলেন, মেডিক্যাল কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হলে ঝগড়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি মহিদুল ইসলাম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।
কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।