Tuesday, December 10, 2024

যশোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন বাতিল

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার বিএনপির ও অঙ্গ সংগঠনের ১৭ নেতাকর্মী আদালত থেকে জামিন পেলেও শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে ফের কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এদিকে, বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য সমমনা দলের ডাকা টানা দু’দিনের হরতালের শেষ দিন যশোরের জীবনযাত্রা ছিল স্বাভাবিক।

মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, নেতাকর্মীরা একটি মামলায় জামিনে থাকলেও পুরনো একটি নাশকতা মামলায় এসব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদলত। তাই কারাফটকের মধ্যে তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিএনপির নেতারা হলেন, মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক প্রভাষক নাজমুল হক লিটন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মাস্টার হামিদুল ইসলাম, খানপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি ডা. আব্দুস সালাম, রোহিতা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও খানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হারুন অর রশিদসহ ১৭ জন নেতাকর্মী।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার বলেন, মণিরামপুরের ১৭ নেতাকর্মী রোববার আদালতের মাধ্যমে জামিন পান। আদালতে জামিন পেলেও থানার নাশকতার মামলায় তাদেরকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।

অন্যদিকে, বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সাত নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, যশোর সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিয়ার রহমান শফি, আরবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করিম রাজু, নগরের ৫ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি জাহিদ হাসান টগর, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইকরামুল ইসলাম, কেশবপুর উপজেলার পাজিয়া ইউনিয়নের আরাফাত হোসেন, আখতারুল ইসলাম ও ডা. মিন্টু হোসেন।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করলেও নেতা-কর্মীদের পুলিশি অভিযান থেমে নেই। বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনে পুলিশের দমনপীড়নের অংশ হিসেবে নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমনটা হতে পারে না।’

আরো পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

এই বিভাগের আরো খবর