লোহাগড়া নড়াইলঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পান্নী লিমিটেডের প্রায় ৫ শতাধিক গ্রাহক পাওনা টাকা পেতে সংশ্লিষ্ট অফিসে ধরনা দিলেও কালক্ষেপন করছে ওই অফিসের কর্মকর্তারা। ফলে গ্রাহকের গচ্ছিত প্রায় ৪কোটি টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা রবিবার লোহাগড়াস্থ ফয়েজ মোড়ে গিয়ে পাওনা টাকার জন্য কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখলে কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরত দেবার আশ্বাস দিয়েই আপাতত পার পেয়েছেন। জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর যাবৎ ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পান্নী লিমিটেড এর লোহাগড়া অফিস পরিচালনা করছেন ও নড়াইল জেলা ইনচার্জ পাচুড়িয়া গ্রামের সৈয়দ হাবিবুর রহমানের ছেলে সৈয়দ আলী নোকী। এছাড়াও লোহাগড়া অফিসে ক্যাসিয়ারের দায়িত্ব পালন করছেন কালনা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ এনায়েত হোসেন। জেলা ইনচার্জ জানান, গ্রাহক সংখ্যা দুইশত। গচ্ছিত আমানত টাকার পরিমাণ ৫০-৬০ লাখ। অথচ প্রতিষ্ঠানের ক্যাসিয়ার জানালেন চারশত গ্রাহকের পলিসির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। চলমান গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দুইশত। একশত গ্রাহক টাকা পেয়েছেন।গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত নিয়েছেন অন্তত ৪কোটি টাকা। গ্রাহকদের অভিযোগ ৩-৪ বছর, কারো দুই বছর পলিসির মেয়াদ শেষ হলেও তারা টাকা ফেরত চেয়ে ৩-৪ বছর, কেউ দুই বছর কর্মকর্তাদের পিছে ঘুরছেন। টাকা ফেরত চাইলে দুর্ব্যবহার করছে কর্মকর্তারা। এদিকে অফিস থেকে কম্পিউটার টেবিল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অফিস বন্ধ করে পালিয়ে যাবার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। ডিপিএস সহ নানা প্রলোভন দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলা ইনচার্জ জানান, গ্রাহকরা টাকা ফেরত চাইছে। ডাইরিতে সবার নাম লিখছি। আপাতত তাদের চেক দেবো। কোস্পান্নীর ঢাকার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছি। পর্যায়ক্রমে টাকা ফেরৎ পাবে। ওই টাকা ফেরত পেতে নড়াইল জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চান দরিদ্র গ্রাহকরা। এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো : জহুরুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন , দেশে এনজিও এবং বিমার প্রতারণা বেড়ে চলেছে এ বিষয়ে গ্রাহকদের দেখে শুনে সবকিছু করা উচিত, এবং এই বিষয়টি তিনি খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।