Saturday, June 29, 2024

ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়া ট্রানজিট না, করিডোর’

- Advertisement -

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ভারতের ট্রেন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত যাবে। এটাকে কী ট্রানজিট বলে? এটাকে বলে করিডোর। যে ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে সেখানে যদি অস্ত্র যায়? সেনাবাহিনী যায়? আপনি তল্লাশি করতে পারবেন? বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারত এখন সেভেন সিস্টার্সের রাস্তা করতে চায়।

বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘আজিজ-বেনজির-মতিউরদের অবিশ্বাস্য দুর্নীতি, মরিচের দাম বিস্ময়কর বৃদ্ধি ও প্রধানমন্ত্রীর দাসখত দেওয়ার ভারত সফর’ এর প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এবারের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সরকার ভারতের কাছে সমস্তকিছু সমর্পন করে এসেছে। ৭ জানুয়ারি ভোট করতে পারতো? ২০১৪ সালে ভোট করতে পারতো? পারতো না। ভারত নাক গলিয়েছে, তাই পেরেছে। ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক, কিন্তু এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা ভারতের হাতে তুলে দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কী বাধ্যবাধকতা ছিল যে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে আবার ভারত যেতে হলো? কিছু পাওয়ার জন্যে? তিনি বলেছেন, যা পেয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। আমাদের প্রধান দাবি কী ছিল, ভারত আমাদের পানি দেয় না। ৫৪টা নদী আছে ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢুকেছে। যখন কোনো নদীর পানি আরেকটা দেশে ঢুকবে তখন তা অবারিত থাকবে, কেউ বাঁধা দিতে পারবে না। ভারত গঙ্গায় বাঁধা দিয়েছে যেদিক দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে, তিস্তায় বাঁধ দিয়েছে যেখান দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে। তারপরই পানি আটকে গেল। তিস্তার পানি আমার প্রাপ্য এটা দিতে হবে, এই কথা কী আপনারা বলেছেন? বড় বড় যে কথা বলেন। এগুলো নিয়ে কোন আলোচনা হয়েছে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী তিস্তার পানির দাবি ছেড়ে দিয়ে এসেছেন।

মান্না বলেন, মতিউর যেদিন গেল সেদিনের আগে পর্যন্ত তার নামে কোনো মামলা, নিষেধাজ্ঞা নেই। পরে বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দিলো। সবগুলো আওয়ামী লীগ করে।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটা লুটপাটকারীদের দেশে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, এমপি আনার মানুষ খুন করেছিল, তাও তাকে আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিয়েছিল। ইন্টারপোল তাকে লাল তালিকাভুক্ত করেছিল। আওয়ামী লীগ এখন ধর্ষণ, লুট যারা করে তাদের দল। আওয়ামী লীগ একসময় স্বাধীনতার লড়াই করেছিল, তাও ভালোমতো করে নাই। তাদের নেতারা কলকাতার বড় বড় হোটেলে গিয়ে লুকিয়ে ছিল।

তিনি বলেন, একজন গরিব কৃষক ৩০ হাজার টাকা লোন নিয়ে পরিশোধ করতে না পারলে তাকে থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ, আর্মি প্রধানরা হাজার কোটি টাকা লুট করে কেউ দেখলো না? আজিজ, বেনজীরের পাসপোর্ট আটকে রাখা হলো না কেন? সরকার এদের রক্ষা করছে।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, মরিচের দাম ঈদের আগে ৪শ হয়েছিল। শেখ হাসিনার আমলে মরিচ, পেঁয়াজের এতোই ঝাল অথচ প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য দিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন দেশের মানুষ কিছু পায়। আজিজ, বেনজীররা পায়। যারা রিকশা, ভ্যান চালায় তারা কিছু পায় না। জিনিসের দাম এতোই বেশি যে পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ ভরে না।

এসময় মানববন্ধনে নাগরিক ঐক্যের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

অনলাইন ডেস্ক/আর আই-০৬

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত