Monday, July 1, 2024

চাঁদপুরে কেন একদিন আগে পালন করা হয় ঈদ

- Advertisement -

বিশ্বের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখার তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহা উদযাপন করে থাকেন চাঁদপুরবাসীরা।
সরকারের চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার ১৭ জুন। কিন্তু সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোববার ১৬ জুন ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন চাঁদপুরের অর্ধশত গ্রামবাসী।
চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামের ১৯২৮ সাল থেকে প্রয়াত পীর মাওলানা ইসহাক চৌধুরী এবং তার অনুসারীরা ওইসময় থেকেই সরকার তথা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। সেখান থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। তখন থেকেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা উদযাপনের নিয়ম চালু করেন। তারপর থেকে সেই ধারা দেশের বিভিন্ন দরবার শরীফের পীরের অনুসারী এবং সচেতন মুসল্লিরা পালন করছেন আগাম ঈদ।

চাঁদপুরের পীরজাদার সাদ্রা দরবার শরীফের ড. বাকী বিল্লাহ মিশকাত চৌধুরী বলেন, দুই ঈদ পালনের ক্ষেত্রে আমাদের সৌদি আরবকে অনুসরণ করে হয় না, বরং ‘এক পৃথিবী এক চাঁদ’ নিয়ম অনুসারে বিশ্বের যেকোনো দেশে চাঁদ দেখার বিষয়টি নিশ্চিত হলে আমরা দুই ঈদ উদযাপন করে থাকি।

চাঁদপুরের সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর আল্লামা যাকারিয়া চৌধুরী আল মাদান বলেন, পৃথিবীর যে প্রান্তেই চাঁদ উঠুক তা সব মুসলমানের জন্যই এক। হানাফী, মালেকি, আম্বলি মাযহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৃথিবীর এক প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে সর্বপ্রান্তে তার ওপর আমল করতে হয়। সে হিসেব ধরেই তারা ঈদ উদযাপন করে থাকেন।

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা, সমেশপুর, অলিপুর, বলাখাল, মনিহার, প্রতাপুর, বাসারা, ফরিদগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মীপুর, কামতা, গল্লাক, ভুলাচোঁ, সোনাচোঁ, উভারামপুর, উটতলি, মুন্সিরহাট, কাইতাড়া, মূলপাড়া, বদরপুর, আইটপাড়া, সুরঙ্গচাইল, বালিথুবা, পাইকপাড়া, নূরপুর, সাচনমেঘ, শোল্লা, হাঁসা, গোবিন্দপুর, মতলব উত্তর উপজেলার দশানী, মোহনপুর, পাঁচানী এবং কচুয়া ও শাহরাস্তি উপজেলার আরও কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা আগামীকাল ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন।

অনলাইন ডেস্ক/আর আই

- Advertisement -

আরো পড়ুন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত