যশোর জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির দ্বি বার্ষিক নির্বাচন কাল। এবারের নির্বাচনে ১১ পদে ২০ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। কাল সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। পরে গণনা শেষে ফলাফল ঘোষনা করবেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিন।
আইনজীবী সহকারী সমিতি সূত্র জানায়, এবারের নির্বাচনে ১১ পদে ২০ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে সভাপতি পদে এবারো অংশ নিচ্ছেন বর্তমান সভাপতি ওমর আলী ও অপরজন গতবারে এ পদে ১০ ভোটে পরাজিত প্রার্থী আব্দুল খালেক। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজিদ ও সমিতির নেতৃত্বে নতুন মুখ সিরাজুল ইসলাম অংশ নিচ্ছেন। এবারের নির্বাচনে সহসভাপতির দুই পদে চারজন অংশ নিচ্ছেন। তাদের মধ্যে বর্তমান কমিটির আজিজুর রহমান, মহাসিন আলী রয়েছেন। এছাড়া এ পদে অপর দুইজন হলেন মোঃ আব্বাস ও বজলুল করীম টিপু। সহ-সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির আলীমুজ্জামান ও গতবারের পরাজিত প্রার্থি আবু তাহের অংশ নিচ্ছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইব্রাহিম হোসেন ও অজিত কুমার অংশ নিয়েছেন। হিসাররক্ষক পদে বর্তমান কমিটির হিসাবরক্ষক শহীদ এনামুল ও গতবারের পরাজিত প্রার্থী জাকির হোসেন অংশ নিয়েছেন। ক্রীড়া ও সাস্কৃতিক সম্পাদক পদে বাবুল রহমান ও রফিকুল ইসলাম অংশ নিচ্ছেন। তারা দুজনেই নতুন মুখ। সদস্য তিনপদে চারজন অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে বর্তমান কমিটির হাসানুজ্জামান, আলী আশরাফ ও আব্দুল জলিল। এ পদে আরেকজন শিমুল কুমার বর্মণ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাধারণ আইনজীবী সহকারীরা বলেন, আইনজীবী সহকারী সমিতির তহবিলে এক কোটি ১৩ লাখ টাকা রয়েছে। গত দুই বছরে ২৬ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছে। যা হাজিরা,সদস্যদের লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, সদস্য পূনর্বহাল ফি আদায়, ফরম বিক্রয়সহ বিভিন্ন খাত থেতে এসেছে। এছাড়া অবসর ও মৃত্যু ভাতা দিয়েছে ২১ লাখ। বিশেষ করে আদালত চত্তরে টাউট উচ্ছেদে এবারের পরিষদের ভুমিকা ছিলো প্রশংসানীয়। এবারের নেতৃত্বে রেকর্ড গড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তাদের দাবি একটি চক্র নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাউট বাটপারদের প্রশ্রয়দাতাদের নেতৃত্বে আনার জন্য নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন। যা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা।
বিশেষ করে গত ১৮ নভেম্বর সাধারণ সভায় প্রকাশ্যেই আইনজীবী সহকারী সুজিৎ কুমারসহ অনেকেই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সিরাজুল ইসলামকে নিয়ে সমালোচনা করতে থাকেন। একপর্যায় তোপের মুখে পড়েন তিনি। সুজিৎ বলেন তার বিরুদ্ধে প্রতারণা সহ বিভিন্ন অভিযোগ ৩৭টি মামলা রয়েছে। এহসান এসের সাথে জড়িত থাকায় কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সিরাজুলের বিরুদ্ধে। কেন তিনি আইনজীবী সহকারীদের নেতৃত্বে আসবেন এমন প্রশ্ন করেন অনেকেই।
রাতদিন সংবাদ