ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে যেতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তার অনুপস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে দলটির নেতা-কর্মীদের ওপর এবং তাদের বসত-বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেছে। হামলায় হতাহতও হয়েছেন কিছু নেতা-কর্মী। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের কিছু কার্যালয়ও। হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকেই।
জয়ের ভাষ্য, ‘এত এত উন্নয়নের পরও মায়ের অপমান করা হয়েছে।’ হাসিনার রাজনীতিতে না ফেরার কথাও জানান জয়। এমনকি নিজে রাজনীতিতে সংশ্লিষ্ট না হওয়ার ঘোষণাও দেন।
তবে ধীরে ধীরে বক্তব্য পাল্টাতে শুরু করেছেন তিনি। জানান, রাজনীতি করতে নিজের প্রস্তুতির কথা। দলের এমন বেহাল পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে নামার ঘোষণা দিলেন শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াতে দেয়া সাক্ষাৎকারে জয় জানান, তার দল ও কর্মীদের বাঁচাতে যা করা দরকার তিনি তাই করবেন। প্রয়োজনে দল ও কর্মীদের বাঁচাতে রাজনীতিতে যোগ দেবেন তিনি।
জয় জানান, তার কখনো রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছা ছিল না, তবে গত কয়েক দিন দেশের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সেখানে নেতৃত্বের ঘাটতি আছে।
হাসিনাপুত্র জানান, আওয়ামী লীগের স্বার্থেই তাকে এখন সক্রিয় হতে হয়েছে। এমনকি তিনি এখন দলের সামনের সারিতে রয়েছেন বলেও দাবি করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণা দেয়ার পরই এমন মন্তব্য করেন জয়।
আগামী নির্বাচন নিয়ে জয় জানান, তিনি নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং বিজয় অর্জনও করতে পারে। বাংলাদেশে তাদের বড় সমর্থকগোষ্ঠী রয়েছে। এ সময় হাসিনার কোনো দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার পরিকল্পনা নেই, বরং আগামী দিনগুলো তিনি ভারতেই থাকবেন বলে জানান জয়।
হাসিনাপুত্র আরও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখনই নির্বাচন দেয়ার ঘোষণা দেবে তখনই শেখ হাসিনা দেশে ফিরতে পারেন।
অনলাইন ডেস্ক